প্রবল রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়ার বদলে
ফিক্ করে ফুসরতে হেসে দিও।
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া কাগজে লিখো
কিছু শব্দবন্ধ আবেগের আতিশয্যে।

আজকাল ফের নাসারন্ধ্র খোঁজে
বারুদের গন্ধে মাতাল জারুল ফুল;
খোঁপায় গোঁজার বদলে তা দিয়ে ছাপ দেব
রক্তখেঁকো প্রিয় মানচিত্র আর পতাকায়।

আলপথ ধরে হেঁটে গিয়েও দৃশ্যমান নয় শস্য,
পোষ্যরা আর পোষ মানে না কোনো অলীক জাদুতে।
কৃষকেরা ফলায় বিপ্লব, হাতে নিয়ে তাবৎ যন্ত্র—
মন্ত্র করেছে বশ সহসা নারকীয় উন্মাদ বেশে।

পান করেছো ক্ষমতার সুধা, ক্ষুধা—
শুধু এখন, নাস্তানাবুদ হয়ে আস্তানা গাড়ে
সর্বগ্রাসী বিনাশী পিয়াসীর প্রেমকাষ্ঠে।
আস্তে, হাসতে হাসতে করো জীবনের মাস্তানি।

সস্তা হাতলে হাত রেখে হারিয়েছ সত্তা;
সারবত্তা, খুলে পড়ে নাও শাস্ত্রপাঠ!
সাধ আর সাধ্যের বাইরে এখন মানুষ—
মনুষ্যত্ব বুঝি নাস্তায় গিলেছ, হয়েছ বড়লাট!

বিপ্লব আসে রক্ত জোয়ারে শতাব্দীতে একবার,
কাঁচাপাকা সব চুলগুলো বাতাসের বক্ষে করে নৃত্য—
ভৃত্য যত আছে, শক্তি জোগায় দানবকে গিলবার!
খিলখিল করে অট্টহাসে, যত আস্তাকুঁড়ের দল।

ছল দিয়ে আর খেলবে কত! ফেলবে—
আজ না হয় কাল পদতলে, জনতার ঢলে!
সব যাবে জলে, বন্দুকের নলে শুধু জীবন
ঢিপঢিপ করে বলে, পৃথিবীটা চিরকাল অশান্ত—
ছিল-আছে-থাকবে!