আজ বিদায়ের ক্ষণ নহে হে প্রণয়ী !
ইহা জীবনের নব যাত্রা ইহা শান্তি;
নব প্রাণ লাভ, ইহা শমগুণ কর্ম;
ইহা অদম্য পথ সন্ধান ইহা মুক্তি।


ইহা কালের পরশে ছুটে, চলে-আসা;
ইহা দুর্গম নিস্তব্ধ পথ ফুঁড়ে চলা।
হেথা সংকীর্ণ কন্টিকা পথ ধূলিময়
আঁধার চেপেছে বসে তব, প্রেমময়;


ফুঁড়ে চলো প্রীতি, তব দেয় যাহা ভীতি
বিদীর্ণ করে দেও সবই যত লয়।      
আজ অভিমুখী হও তবে হে প্রণয়ী !
খুঁজে নেও তবে নব ঠাঁই, এ আলোয়।


মিশে যাও তবে নব ধুলোয় সমীরে;
নব দিগন্তের পথ প্রান্তে, হেঁটে চলো।
মেখে লহ আজ পুষ্পঘ্রান, চলো পথ
মুছে দেও তবে অনাদর ফুঁড়ে চলো।


হেথা দেখিবে আলোর মেলা, জ্বলিতেছে
খুঁজে লহো তবে হে প্রণয়ী ! মুক্ত শিখা।
দু পা-হেঁটে চলো সেই পথে, নিজ কর্মে;
রাখিও স্মরণে রহ সৎ এই ভবে।


ইহা সকলেই ছেঁড়ে যাবে কোনো ভবে;
রহে স্মৃতি তব যত আশা নিস্তব্ধতা;
কোনো গহীন হৃদয়ে ভাষা; নির্জনতা।
রহিবে হাসি-কান্নার ধন্নি শত প্রীতি।


প্রাণপূর্ণ সাফল্য লাঞ্ছনা শত বাধা
যত মূর্খতা বহে গহীনে, গহীনের।
ভব তরে নাও ভাসিয়েছি, সবে কালে
হয়তো হবেনা দেখা তব খেলাঘরে।  


কিবা যেতে-যেতে কভু দেখা হবে সাথে!
তার সাথে? এই ধরণির কোনো এক
সরষে ফুলের মাঠে, তব হবে দেখা  
মোর সাথে! গোধূলি লগ্নে নির্জন পথে।