এই নিদাঘ নীল গগনে —
যেন ঝলমলে প্রখর রৌদ্র;


মনে হয় চারিদিক শূন্য ধু ধু মরুভূমি;
দু চারি দেখা যায় দূরে, কী যে করিতেছে তাহারা ?


কেহ হাসিতেছে কেহো কাঁদিতেছে !  


কর্মঠরা হাপিয়েছে কাজে নয়,
যেন নিঃশব্দ হৃদয়ের বেদনায়;
মনে হয় সে কত শতাব্দীর ব্যথা হৃদয়ে রয়েছ আঁকা।


দিকে-দিকে রয়েছে বাঁকা
মনে হয় তারি কত শাখা,
যেন অনন্ত গগনে বিস্তৃত;


কাজের সম পাচ্ছিনা পুঁজি,
ঠকাইতেছে আজি কতশত পাজি;
দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে ঋণ,
ঋণের ভারে আজি সারা শরীরের কাজি হইয়াছে শীর্ণ —


দিনে-দিনে বাবুরা খেয়ে-খেয়ে মধু
তাহারাই এখন হয়েছে সাধু।
হৃদয়ের গহীনে কাঁদে স্বয়নে শুইয়া চিন্তার ভাঁজে;
মনে হয় কত শতাব্দীর অভিশাপ লেগেছে আমারই কাঁধে।


নির্দ্বিধায় চলিতেছে যাহা
অভক্ষয় হইতেছে তাহা,
কালের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তবুও রয়েছি বেহুশ হচ্ছে না হুশ।


নেই আর সে জীবন হে মানব —
জেগে ওঠো আপন আলয়ে,
চলিতেছে যে তরী বৈঠা দরো কারি;
থাকিবে না ভয় বিশ্ব করিবে জয়।