হে কোমলমতি নারী তুমিই আমার মা বোন মেয়ে স্ত্রী,
তোমার অপমান মানে আমার রক্তকে নিয়ে অপমান,
তোমার উপর খড়গ হস্ত মানে জাতীর ঔরশে পদাঘাত,
তোমাকে ধর্ষন করার অর্থই জাতীকে জারজ বানানো,
সব অপমান সয়ে আঁচলের নীচে চোখ মুছো কেন মা?
মা তুমি ঘুরে দাঁড়াও শক্ত করো তোমার বুকের পাটা,
এর জন্য আমি তোমাকে বোরখা পর্দা খুলতে বলিনা।
শুধু বলবো তোমার মায়াবিনী দুর্বলতার ঘুম ভাঙ্গো,
সমাজে কলংক হবে এমন ভাবনার মুখে লাথি মারো,
হাতে তুলে নাও হাতুড়ী, রাখো একহাত লোহার ডান্ডা,
টালটি ফাল্টি করলেই ধুমধাম নাকে মুখে করে দেবে ঠান্ডা।
জাগ্রত হও হে নারী বহুত ঘুমিয়েছ, আর নয় জাগ্রত হও,
তোমার সোবহে সাদেক সমাগত,লম্পটেরা হবে অপসৃত।
দল বেঁধে চলো,যেখানেই শীষ কটুক্তি টার্গেট চিহ্নিত করো,
কোন কথা নেই ধমাধম বসিয়ে দাও,শক্ত করো তোমার মন।
তুমি যে সমাজে আছো এর পুরুষেরা আজ কাপুরুষ,
তোমার মরনের পর দুদিন মিছিল মিটিং তারপর শেষ,
তোমার যাবার তুমিই অকালে ঝরে যাবে,কেন জাগ্রত হবেনা?
প্রতিবাদী হও মা, আর নির্যাতিত নিপিড়িত তুই হইস না।
আমি তোকে ধর্ম কর্ম পর্দা হতে বেরিয়ে যেতে বলিনা,
আমি শুধু তোর নিরাপত্তার কথা বলতে চাই,তুই বাঁচ।
শত শত মা বোন আজ ধর্ষিত কলংকিত হয়ে নিশ্চুপ,
হাজার হাজার স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েরা শিক্ষক,লম্পটদের হাতে জিম্মি হয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় পথের দিশা পাচ্ছেনা।
দ্বীঘাত সমীকরনে পড়ে জিম্মি হয়ে একবার এরে একবার ওরে বিবাহের মত ঘটনার মাধ্যম দিয়ে চলছে তোদের জীবন।
আর নয় বসে থাকার সময় জাগো নারী জাগো।
তোর নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য জাগ্রত তোকে হতেই হবে।
তোর জাগ্রতে আমি পূর্ব দিগন্তে তোর মুক্তির রবি দেখি।