‘আমল’ শব্দটা আরবি, বাংলায় তাকে বলে কাজ,
আমলের অর্থ, সংঙ্গা, প্রকৃতির কোনকিছুই বুঝিনা আজ।


সালাতকে ভাবি আমল, সিয়ামকে বলি আমল,
দোয়া দুরুদ, তাসবীহ তাহলিলকেই ভাবি আমল।


সালামকে বলি আমল, হজ্জকে বলি আমল,
ওমরাহ করা, মুরুব্বি আদবকেই ভাবি আমল।


কোরআন পড়ে খতম দেওয়াকে বলেছি আমল,
হাদিস পড়ে প্রচার করাকেই ভেবেছি আমল।


খাওয়ার আগে-পরে দোয়া করাকে ভাবছি আমল,
শোয়া কিবা বসার দোয়াকে বলছি আমল।


পর্দা করা আর কোরবানি করাকে ভেবে নিয়েছি আমল,
দিকে দিকে গিয়ে দ্বীনের দাওয়াতকে ধরে নিয়েছি আমল।


প্রতি ক্ষনে ক্ষনে আল্লাহ নামের যিকিরকে ভাবি আমল,
নবীর স্মরণে সালাম পাঠিয়ে ভাবি করিলাম আমল।


বিশেষ সময়ে বিশেষ কিছু আয়াত পড়াকে, ভাবি আমল,
বিশেষ দোয়ার বিশেষ সংখ্যক যপে যাওয়াকে বলি আমল।


এমনি যা কিছু করি আমরা ওসব নয়তো আমল,
উপাসনা ওগুলো, বাসনা ওগুলো, ওগুলো হয় কি আমল?


নেয়ামতরাজীর শুকরিয়া কিছু আর কিছু শিক্ষা,
কোরআন আমাদের আমলের কিছু দিয়েছে ভিন্ন দিক্ষা।


ঘুম থেকে উঠে ঘুমিয়ে যাওয়ার মাঝের যত কাজ,
সবকিছুই তার আমল হিসাবে রাখেন রাজাধীরাজ।


আমার জীবনের প্রতিটা কাজ আর প্রতিটি ব্যবহার,
আমল হিসাবে ধরে করিবেন প্রভু চুলচেরা বিচার।


কোন কাজ ছিল বিবেক সিদ্ধ, কোন কাজ মানবিক,
কোন কাজ ছিল সৎ পথে আর সততা ভিত্তিক।


উপাসনা, বাসনা, প্রার্থনা আর শুকরিয়া যত,
শেষ বিচারের মানদন্ডে তার গুরুত্ব নাই তত।


বিচার হবে, শাস্তি পাবে, পুরস্কারও পাবে
আমলের ভালো আর মন্দের মাপা-মাপিটাও হবে।


কৃত আমল যার সৎ পথে ছিল, মানবিকতার পথে,
বিচার শেষে দেখবো তাদের জান্নাতিদের রথে।