আমি গ্রাম বাংলার মাঝি,
ছুটে যায় আমার নৌকা নদীর জলে,
চোখে রোদ পড়ে  - তবু দেখি
সীমাহীন গন্তব্যের দিকে, তবুও ছুটে যায় জীবিকার খোজে।

ইচ্ছে হলে আমি নদী
নিস্তরঙ্গ, আবার কখনো বুনো ঢেউ,
ইচ্ছে হলে আমি গাছ, ছায়া হয়ে দাঁড়াই
পথিকের কাঁধে ক্লান্তি জুড়াই।

আমি সেই মাটি  
যে জন্ম দেয় শস্য, আবার শুষে নেউ নেয় ঘাম।
আমি আকাশ  - যেখানে সূর্য ওঠে,
পাখি গান গায়, মেঘ নামে স্বপ্ন সাজিয়ে।

আমি মাঝি,
তবে আমার বৈঠা কেবল নদীতে নয় ,
আমি চালাই শব্দের তরী,
চালাই কাব্যের ঢেউ।

আমি গ্রাম বাংলার কবি,
যে দেখে পাতার কাঁপনে কার কান্না লুকানো,
যে লেখে মানুষের চোখের ভাষা,
আর অমানুষের মুখোশ খুলে দেয় নিঃশব্দে।

ইচ্ছে হলে লিখি
মাটির মানুষ, ব্যথার শহর,গ্রামীণ জীবন,
একটা মেয়ে যে হারিয়ে গেলো সময়ের স্রোতে,
একটা ছেলে যার হাতে ছিল শুধু স্বপ্নের মানচিত্র।

আমি কবি, আমি মাঝি,
আমার হাতে কলম আর কণ্ঠে গান  ,
আমি পেরোই সময়ের নদী
আর হৃদয়ের সাগর।