তোমার,ভ্রুকুটি চকিত চাহনি,অভিমানী মন
ঘুমহীন লাল চোখে খুঁজে ফিরি
জোছনার আলোয় সারা রাত
কখনো কাঠ গোলাপ,কখনো কৃষ্ণচূড়া,কখনোও বা পদ্মা'য়
কি ভীষণ যত্নে আগলে রাখি,লুকিয়ে মনের গহিনে
বাজপাখির নজর থেকে বাচাতে তোমায় নিজে হই রক্তকবরী।
তুমি তো সুরমা নদীর মতো স্বচ্ছ
বয়ে যাও স্রোতে,মায়াবতী রুপে
মায়াতীরে জোয়ারভাটায় ভিজতে আমার ব্যস্ততা
তুমি কি খবর রাখো?
তুমি তো নীলাম্বরে নীলপরি
রাখো না অমাবস্যার খোঁজ
কিভাবে ভালোবাসা গড়ে উঠে
আধার থেকে আলোতে,
অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমায়।
পত্র পল্লবের উচ্ছ্বাস,
হয়ে উঠবো স্রোতস্বীণী মায়াবতী নদী
বয়ে যাবো দিনে-রাতে,হলদে আলোয়
তোমার মনের মাঝ বরাবর
ছল ছল শব্দে,এক আকাশ নীলচে বেদনা নিয়ে।
গভীর অরণ্যে জেগে উঠা মন জানে,
তোমার হীম ছড়ানো চোখের মায়া কতখানি
তুমি সুন্দর,তুমি অনন্য,কবির মন জাগানিয়া কবিতার শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার
দ্বগ্ধ অনন্ত পিপাসায়,জীবনের স্বন্দীহান ক্ষণেও তোমাকেই চাইবো বারেবার।


উৎসর্গঃ প্রেয়সী কে।