ভুলিনি আজও


তবুও অল্প পড়েছে মনে, ওপারের পৃথিবী। ছিলো হয়তো অল্প অনুভূতি। ভুলিয়াছি সেই পৃথিবী, পাইনি যেখানে কোন আঘাত, ব্যথার ছাপ। সেদিনের সেই পৃথিবী, আজও ভেসে ওঠে দৃষ্টিকোণে।
দেখিতেছি স্বপ্নের রূপ, ভাঙিবে কখন ঘুম? স্বপ্নে গড়া এই পৃথিবী ? প্রকৃতির দৃশ্য মাঝে চিৎকার, হাহাকার, ভরেছে আর্তনাদে! বন্ধ হয়েছে আজ অন্তর চক্ষু। স্বপ্নের ছায়া ঘিরে, ছিন্ন করেছে মোরে।  ক্ষুধার্ত ছিল শিশু, মায়ের কোলে। আসিয়া দাড়াইলো দ্বারে। শিশুটি চাহিয়া ছিল মোর পানে, শুকনো নয়নে, পলকহীনে। কিছু কালবিলম্ব পরে, উঠিয়া চলিয়া গেল ধীরে। পারিনি হাসিমুখে ফিরাতে। ফিরিয়া চাহিয়া দেখি, ভিজিয়া গিয়াছে চৌকাঠ, দু-চার ফোঁটা জলের দাগ। হইতো মায়ের হবে অশ্রুজল। পারি নাই বুঝিতে, সেই অশ্রুজলের ভাষা। হরণ করিয়াছিল চৌকাঠ। জানিনা আমি, নিষ্ঠুর ছিল কি না আমার সেই চখের ভাষা।  তাইতো! কোথায় হারিয়ে গেল দোহে! ধিক্কারি নিজেকে! করিবে কে? আমার এই অপরাধ ক্ষমা? ভুলিতে পারিনা আজও। ভুলিবো সেদিন, স্বপ্ন ভাঙিবে যেদিন!