নিশি স্বপ্ন,নিশি গহীন,নিশি বিরামহীন
দিবসের অপরাহ্ন, দিবসের লগ্নে
আমি শুধু; দূর থেকে তোমাকে'ই দেখি:


দেখি তোমার শীতল বাতাসে নুয়ে পড়ে
বধন খানি; মুখের অম্লীত হাসি পড়ে রয়,
মধুসীদ্ধ বহনে উড়ে পড়ে রয় চুলের শিরি শব্দ;


তোমার চরণে পড়ে রয়ে গেছে হাজারো পদ স্পর্শ
পরশে'র ছায়া,যে পথে আমি হাঁটি তোমার শলিলিত
দেহের সুনলতার সুবাস নিয়ে যায়:


একদিন তোমাকে দেখি ফুল ফুটে নদী কললিত
স্রোতখানির জড়ানো সুরেলা কণ্ঠের বানী;
একদিন তোমাকে দেখি ঘন সবুজ শ্যামল পাতায়
কবুতরের যুগল ছবি; তুমি কথা কও:সুর শুনাও
বিষাদের জড়ানো সুরে সুখের প্রতিচ্ছবি।


একদিন তোমাকে দেখি আমার শত-ছেঁড়া কাগজের
মলিন পৃষ্ঠায়, কবিতার ছন্দ ভুলে যাই, ভাষা হারিয়ে যাই
এ যেন,
তোমার অম্লীত হরিণের চোখে পৃথিবীর সুখ;
সুখ আর সুখ।


সেই নিশি রাতে সবকিছু পিছনে ফেলে,
তুমি আমাতে নিয়ে ব্যস্ত;শত শত দৃষ্টি অবজ্ঞা করে
তুমি আমাকে ভাবছো; আমার দৃষ্টির কোলে আজ
তুমি যেন এক নিষ্পাপ প্রেমিকা: আর আমি: তুমি'ই।


শুধু শুধুই; দূর থেকে তোমাকে'ই দেখি :আর তুমি
আমার অন্তর্দৃষ্টির বিরহের কাতরা প্রেম পরী'ই।
আমি শুধু দূর থেকে তোমাকে'ই দেখি;তোমাকে'ই দেখি।