প্রাণ থেকে প্রাণে

 প্রাণ থেকে প্রাণে
কবি
প্রকাশনী ছিন্নপত্র প্রকাশনী
সম্পাদক সম্পাদনায়: অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবির, সাবেক মহাপরিচালক নায়েম, ঢাকা
প্রচ্ছদ শিল্পী মিজানুর রহমান নিলয়
স্বত্ব লেখক
প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ২০২০
সর্বশেষ প্রকাশ নভেম্বর ২০২০
সর্বশেষ সংস্করণ ১ম সংস্করণ
বিক্রয় মূল্য ২০০
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

পর্যবেক্ষণ ও পরিশীলন
এক.
‘প্রাণ থেকে প্রাণে’ কবির তৃতীয় কাব্য গ্রন্থ। ‘প্রাণ থেকে প্রাণে’ কাব্য গ্রন্থটি পড়ে প্রতিটি কবিতার ভেতর প্রতিটি চরণে প্রাণের সন্ধান মিলেছে একথা অনস্বীকার্য। বেশ কয়েকটি কবিতায় বই পড়াকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বইয়ের শব্দের ভেতর যে আনন্দ, বেদনা, স্পর্শ আছে তা এই কাব্য গ্রন্থটি পড়ে বোঝা যায়। পৃথিবীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঈশ্বর, ভালোবাসার কাঠপেন্সিল, দৃষ্টি ভঙ্গির খাঁজ, কবি হওয়ার কবিতা, রমরমা নায়িকার খোঁজ, রক্তের দাবী কবিতা গুলো আমাকে খুব স্পর্শ করেছে। এছাড়াও অন্য কবিতাগুলোও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছ। আমি প্রত্যাশা করি কবি তাঁর লেখনি দ্বারা আরো ভালো ভালো কবিতা পাঠকদের উপহার দেবেন। কবির জন্য শুভকামনা থাকলো। পাঠকদের জন্যও অনেক ধন্যবাদ।
-মো. আলমাস উদ্দীন
সহকারী অধ্যাপক, বংলা
রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী
দুই.
‘প্রাণ থেকে প্রাণে’ কাব্য গ্রন্থটি পড়ে প্রতিটি কবিতার শব্দে শব্দে প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায় এ জন্য কবিকে অভিনন্দন। ‘প্রাণ থেকে প্রাণে’ কাব্য গ্রন্থটির প্রথম কবিতা প্রাণ থেকে প্রাণে, যে কবিতায় ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের পিঁসির মৃত্যুর বিষয়ে কবির মেয়ের কান্নার বিষয়টি উপজীব্য করে তোলা হয়েছে যা আমাকে অবাক করেছে। দৃষ্টি ভঙ্গির খাঁজ কবিতায় কবি লিখেছেন,
“তুমি পড়লে হাড় ভাঙে যায়
আমি পড়লে উঠোন ভাঙে!”
দৃষ্টি ভঙ্গির খাঁজ কবিতায় স্বল্প কয়েকটি লাইনে অসাধার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন। কবি হওয়ার কবিতা, রমরমা নায়িকার খোঁজ কবিতা দু’টি পড়ে যেমন হেসেছি তেমন কেঁদেছি। আরো অনেকগুলো কবিতা এই কাব্য গ্রন্থে আছে যেগুলো পাঠককে স্পর্শ করবে বলে বিশ্বাস করি। কাব্য গ্রন্থটির বিষয়ে বিচারের ভার পাঠকদের হাতে ছেড়ে দেয়া ভালো। কবির জন্য শুভকামনা রইলো। পাঠকদেরকেও ধন্যবাদ।
-মো. নজরুল ইসলাম
প্রভাষক, প্রাণী বিদ্যা
গৌরিপুর সরকারি কলেজ, ময়মনসিংহ

ভূমিকা

মুখবন্ধ
আমি নিঃসঙ্গ মানুষ। একা থাকি নিজের সাথে কথা বলি। ছেড়ে যাওয়ার হাহাকার, একাকীত্ব, ব্যথা, বেদনা, দুঃখ-কষ্ট আমার বন্ধুবর। প্রাণ থেকে প্রাণে কাব্য গ্রন্থটি আমার সেই একাকীত্ব, হাহাকার, ব্যথা, বেদনা, দুঃখ-কষ্ট, চারপাশের অসঙ্গতি এঁড়িয়ে বই পড়ায় যে প্রাণ আছে, আনন্দ আছে, আছে অভিজ্ঞতার খোঁজ সে বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা ছিল। দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা, প্রাণের প্রেরণা, স্মৃতি ও আগামীর কাব্যিক প্রকাশ হলো প্রাণ থেকে প্রাণে কাব্য গ্রন্থটি। আমার এই কাব্য গ্রন্থটি যে, রহস্যময় জগতের কল্পিত ছন্দ নয় এ পাঠকদের নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। এ কাব্য গ্রন্থ আমার পেছনের বেদনার ফল। একাকীত্ব, হাহাকার, ব্যথা, বেদনা, দুঃখ-কষ্ট, চারপাশের অসঙ্গতি নিয়ে ৫৭টি কবিতা প্রাণ থেকে প্রাণে কাব্য গ্রন্থে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বাস্তবতার তেমন কোনো বর্ণনা দিতে পারিনি, চেষ্টা করেছি মাত্র। পৃথিবীর কোনো কবি তাঁর অনুভূতি, চারপাশের অনন্দ, সর্বজনীণ আবেদন, সময়ের চাওয়া নিয়ে কবিতা লিখে শেষ করতে পেরেছেন কিনা আমার জানা নেই, তবে আমি পারিনি এতোটুকু বলতে পারি। এ বড়োই কঠিন কাজ। কিছু ভুল ভ্রান্তি মনে হয় থেকে গেল, থাকুক। ভুল যদি তুচ্ছ করার মতো নাও হয়, তবুও থাকুক। প্রক্তণ বেদনা আমাকে কাব্য গ্রন্থটি রচনার জন্য নান্দনিক বেদনা দিয়ে সাহায্য করেছে, ধন্যবাদ পাওয়ার আশায় করেনি তাই লিখিতভাকে তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি না। আমার অভাব, সংসার, বাবা-মা, ছোট দুই ভাই, পারিপার্শ্বিক বাস্তবতা মাঝে মাঝে লেখায় বিঘ্ন ঘটিয়েছে তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তাঁদেরকে ধন্যবাদ। মনের চাপাচাপিতে এবং প্রিয় সহকর্মী নজরুল ভাইয়ের উৎসাহে প্রাণ থেকে প্রাণে কাব্য গ্রন্থটি রচনা করেছি; কাব্য গ্রন্থটি পড়ে যদি কেউ দুঃখ পান তাঁহলে আমার মনকে কিছু বলুন অথবা নজরুল ভাইকে ধরুন, আমাকে নয়। আমি নিরাপদ থাকলে খুশি। ভালো লিখতে পারি না; তবুও বলি- হে সময়, আমার এ লেখা যেন থাকে দুধেভাতে। সকলকে ধন্যবাদ।

-মো. আব্দুর রাজ্জাক
০৬/০৬/২০১৮ খ্রি.

উৎসর্গ

উৎসর্গ

যাদের ঋণ, কোনো দিন
শোধ করতে পারবো না।
যাদের ঋণ শোধ করার ক্ষমতা
আমার নেই, সেই শ্রদ্ধেয়
প্রিয়
মা এবং বাবা’কে