প্রশ্নটা চিরকালের।
কবিতা কেন লেখা হয়?
টাকা নাকি সমাজ সংস্কার করতে চাই!
আমি বলি, কিছু করার ক্ষমতা নাই
সময়ও কাটে না, চারপাশে অনেক ঘটনা
তাই লিখি।


বন্ধুরা প্রশ্ন করে
অকপটে নিজেকে বাজারী কেন করি!
সত্য বলি, তাই বাজারী হয়ে যায়।
সত্য না লিখলে কি করে লেখা হয়?


সহকর্মীদের প্রশ্ন, লেখার কি মান আছে?
লেখার মান দিনে দিনে হয়
জীবনাবসান হলে হয়
লেখার বয়স হতে হয়,
কোনো কোনো লেখায় মৃত্যু লাগে
তারপর অনেক কিছু বদলায়।


পাঠকেরা বলে, লেখা তো
মহাভারতের সময় থেকে হয়..
তাহলে আজও
পুরুষেরা মেয়েদের আঁচল টানে কেন?
মা-বোন অত্যাচারিত হয় কেন?
সমাজ বদলায় না কেন?
কান পাতলে কান্নার শব্দ শুনি কেন?


আমি বলি, যারা অক্ষর চেনে না
তাঁদের নিয়ে কেউ যে লেখে না!
স্যুট-টাই পরা আর মেম সাহেবাদের নিয়ে লিখে
সমাজ বদলায় না।
সমাজ বলতে শুধু তাঁদের বোঝায় না!


আমি লিখি তাদের নিয়ে, যারা অক্ষর চিনে না
দু’মুঠো ভাত জোটে না
জামা কাপড় কেনার তারিখ জানে না
কে কার বাপ-মা তাও চিনে না
কোথায় ঠিকানা, কে কার কে হয়
সমাজ দেশ অধিকারের খোঁজ রাখে না।


আমি কি করে বলি!
এ লেখা কে পড়বে?
কবে কোথায় যাবে?
কারা নিন্দে জানাবে?
এটা কিশোর, ওটা এ্যাডাল্ট পড়বে
আমার বুকের রক্তের লেখাতে
এসব শ্রেণিভেদ করি না।
রাজারা প্রজা বলে, আমি প্রজা চিনি না
লিখি এ জন্য যে, আমার সময় কাটে না।