বড় মেয়ে মালিহা
আদরের মেয়ে কান্না তাঁকে ছোঁয় না,
আনিকা ছোট্টটা নাড়ি ছেড়া ধন
হাসি-খুশি সারাক্ষণ, কাঁদে না কখন!


চারিদিকে ছুটাছুটি সকাল বিকাল
বসে বসে ভাবি কতটুকু খুশি
মনে প্রাণে কতটুকু উঠলো বেড়ে
হয়েছে কী! চেয়েছি যেমন করে!


একদা সকালে দিলাম তুলে
‘পথের পাঁচালী’ তাদের হাতে।
দুপুর বেলা দেখলাম গিয়ে
দু’জন শুয়ে আছে বই দিয়ে মুখ ঢেকে!


বললাম তাদের আজি বিকেল বেলায়
যদি পড়ে না দিতে পার কেমন লাগলো
বিভূতিভূষণের লেখায়...
খেতে পাবে না, রাত শেষে হলে ভোর!


বিকেল গেল সন্ধ্যা এলো
রাতের কিছুটা পেরিয়ে গেলো!
খেতে তাঁরা এলো না।
রাত তখন আটটা বাজে...
মালিহা উঠলো ডুকরে কেঁদে..


দিশেহারা হয়ে আমি চলে গেলাম ঘরে
আনিকাও জড়িয়ে আছে বুকে মাঝে তাঁকে!
আমাকে জড়িয়ে বলছে দু’মা বারবার
“মরে গেল.. সে মরে গেল... বাবা!
সবাইকে ছেড়ে চলে গেলো.. ও!”


লক্ষ্মী বলিল, “কে মরেছে কে মরেছে?
অনেক হয়েছে। চল এবার, যাবি খেতে।”


আমার ততক্ষণ বুঝতে নেই বাকী
লেখার শক্তি এমনই তো হবে
প্রাণ থেকে প্রাণে ছুঁয়ে যাবে!
হাসাবে কাঁদাবে আনন্দে ভাসাবে
দিনে দিনে পরিণত করবে।


কান্নার মাঝে আছে এমনই সুখের হাসি
বই পড় তাতে সুখ খুঁজো রাশি রাশি।