কবিতা:  রাজনীতির মহাকবির জন্য প্রতীক্ষা


                                  
কতো কবি লিখে গেলো কবিতায় শেখ মুজিবুর রহমানের নাম!
মহাকবির জন্য আমি কি না লিখে পারি! আমি নই এমন সন্তান।
স্বর্গ দিয়ে যিনি পেয়েছেন সকলের মাথার উপরে সম্মানের স্থান।
প্রিয়জন, বাঙালি-স্বজন আজন্মকাল তাঁকে ভালোবাসে অক্লান্ত
জান্নাত হোক ললাটে মহাকবির এই কলম চিরদিন প্রার্থনা রত।


চারিদিকে পিতার রক্তে করি মোরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চাষ
রক্তের ঋণ শোধ হবে নাকো হাজার বছরে ভুল খুনের দীর্ঘশ্বাস।
যে পিতা মনে প্রাণে বিশ্বাসে শ্বাস প্রশ্বাসে ঘরে ঘরে বাঙালির সত্তায়
যে পিতা প্রতিটি বাঙালির রক্তে মিশে মনের মুকুট করে রাখে মাথায়
যে পিতা জনগণের নেতা হৃদয় দিয়ে বুঝেছেন গরীব দুখির শত ব্যথা
যে পিতা ছিল ন্যায় বিচারক বুঝতো সুখ-দুঃখ অনুভবে সব মনের কথা
সে জাতির পিতা তুমি, সে জাতির পিতার বন্দনা মহাকাল ধরে করে যাই
শত্রুরা বলে তুমি নাই! আমি বলি আছো, বুক জুড়ে তোমাকে খুঁজে পাই।


তুমি দিয়েছো মোদের সেই মূল্যবান মুক্তি, স্বাধীনতা মোদের সেই শক্তি
তুমি বিনে স্বাধীনতা! কি করে হয়! তুমি ছাড়া বাংলাদেশ অসম্পূর্ণ রয়
তোমার জন্য কবির কলম, আউল-বাউল, লেখক লক্ষ শ্রদ্ধায় মাথা নত,
তুমি ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ডাক কে দিতো? স্বাধীনতা কি করে মোদের হতো?


“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম”।


স্বাধীনতার এই ডাক বজ্রকন্ঠে কে দিতো...?
কে দিতো...?


প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশ কি কোনো কালে স্বাধীনতা পেতো?
নাকি বাঙালি মা-বোনদের রক্ত গোঙানি মহাকাল পেরুতো!
হতো না, হতো না, বাংলাদেশ হতো না! পিতার জন্ম না হলে
অবিরাম কান্না চলতো আজো আকাশ বাতাস নীল সাগর জলে।
রক্তস্রোত ঝরনা ধারায় বুক পাঁজর ভাঙে এ দিনে বুক ভাঙা বেদনায়
অনেক যত্নে প্রিয় নাম শেখ মুজিবুর রহমান খোদাই আছে মণিকোঠায়।


মার্চের সাত তারিখের ভাষণে দোলা দিয়েছিলে বাঙালির মনে প্রাণে
শত্রুর থাবায় পঁচিশে মার্চ কালোরাত্রে রক্ত ঝরলো মিশে গেলো ভূমিতে।
তোমার আদর্শ, দেশপ্রেম, মানবিকতা মার্চের বুদ্ধি দীপ্ত স্বাধীনতার ঘোষণা
তোমার হলুদ বিকেলের ঘোষণা বয়ে গেলো মহাকালে বাঙালির চেতনা।
তুমি তো জাতির পিতা দিয়েছিলে ডাক ঐক্যবদ্ধ হলো বঙ্গের সর্বসাধারণ
অনুভূতি, ভালোবাসায় ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে জয় হলো মুক্তির মহারণ।


বাঙালির স্বাধীনতার সাধ ভেঙে দিলো ঘাতকের কঠিন বাঁধ, এলো মুক্তি বার্তা
ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা, ছিল না অতি সস্তা।
খুলে গেছে মায়ের পায়ের শিকল সন্তানের পরাধীনতা, এ তোমার অমর কীর্তি
আগস্ট ফিরে এলে বুকে কড়া নাড়ে, মনে হয় পিতা হারা আমি ঘুরছি দ্বারে দ্বারে
বিপদগামীর মেশিনগান কেড়ে নিলো মোর বুক ছিদ্র করে জাতির পিতার প্রাণ!
আমি নদী পথ পাথার পাড়ি দিয়ে চলি দক্ষিণ বঙ্গে গিয়ে আজো দু’হাত তুলি।
হে জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি করে সবার উপরে তোমার স্থান।
এ কোন ঋণ শোধ নয়, নয় কোন প্রতিদান এতটুকু তোমার অবদানের সম্মান।


তোমার বজ্রকন্ঠ বাণী আজো জপি তাই যুদ্ধ নয় অস্ত্র ছেড়ে ফুল চাষ করি
তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হাতে হাত রেখে মস্তিষ্ক দিয়ে লড়ি।
দেখে যাও হে জাতির পিতা পুরো জাতি আজ সারা বিশ্বে তোমার অপেক্ষায়
হে জাতির পিতা দেখে যাও কতো জন তোমার অপেক্ষায়, আমিও প্রতীক্ষায়।


                                          (কবিতাটি রচনার তারিখ: ১৫/০৮/২০১৬ খ্রি.)