অনেকটা সময় হারালে অবজ্ঞার স্মৃতিতে তুমি,
কোথায় কেমন আছো! আজও জানিনা আমি।
খুঁজেছি নির্লজ্জতা, আবেগ আর ঘৃনায়
রাজপথ, মেঠোপথে কোথাও পায়নি তোমায়।
হৃদয় দিগন্তে থাকলেও নয় সেই প্রাপ্তির জন্য,
মনে পড়ে দুরদুর করে তাড়িয়েছি সম্মানের ধন্য।
কতদিন তোমার মা দিত আমার হাতে তুলে,
বাদলা দিনে এক ছাতার নিচে যেতাম স্কুলে।
আমার এক ক্লাশ নীচে তুমি, ছাত্রী ছিলে ভাল,
তোমার প্রতিভাটা আমার হৃদয় কেড়ে নিয়েছিল।
কবে কখন যে, হারিয়েছিলাম মন দু’জনেই
তোমার আমার সবটাই দেখতো ভাল চোখেই।
সভ্যতা আর শালীনতায় কাটে দু’জনের সময়,
আমি তোমাকে, তুমিও মনে রাখতে আমায়।
প্রত্যাশা, পছন্দের সবটুকুই ছিল তোমার মাঝে,
কখনো ভুলিনি তাই আমার শত সহস্র কাজে।
কোন একদিন তোমার সাথে দেখা রমনার বটমুলে,
দিলাম দুজন, দুজনের কথার ডালি খুলে।
আগের চেয়ে সুন্দর! করে দিলাম শতর্ক,
মনের টানে করনি বিতর্ক।
ব্যস্ততায় ক’দিন হয়নি দেখা তোমার,
যেদিন হলো সে দিনতো মনটা চুরমার।
একি! হিজাব ছাড়লে কেন ?
তুমি বললে, অপেক্ষায় থেকোনা যেন!
পাঁজরটা ভেঙে গেল ক্ষীণ শ্বাস, প্রশ্বাস,
সত্যের যবনিকায় আমি বড্ড হতাশ।
উচ্ছৃংখতার কোন এক দিনে শুনি দুঃসংবাদ,
হারিয়েছো তুমি তোমার মুল্যবান সম্পদ।
আমার কথা শোননি, মনে রাখোনি আমায়,
ঘৃনা, লজ্জা, ধিক্কারে খুজেনি তোমায় !
প্রগতির ছোঁয়ায় নিশ্চিহ্ন মুল্যবান দীপ্ত জীবন,
আঁধারে ঢেকে যায়, তোমার সুন্দর ভূবন!
আমি বিধাতায় বিশ্বাসী মসজিদে যেতাম বলে,
কতনা মধুময় দিনগুলোর কথা গেলে ভুলে।
আমি আমার প্রভুর কথা শুনেছি,বেড়েছে সম্মান,
তুমি নফসের কথায় চলেছো বলেই হয়েছো অপমান।
আমি দেহকে পবিত্র রেখেছি লাগেনি পাপের ছায়া,
যদি বেচেও থাকো লেগে আছে অপবিত্রতার অপচ্ছায়া।
সুন্দর দেখেছি আজও চোখে চোখে ভাসো,
লোভ,প্রত্যাশায় নয়, খারাপ তুমি, এখন কেমন আছো ?