একটা কবিতা লিখো না তুমি কবি,না হয় কেবল আমারই জন্য!
তাতে কী এসে যায় কার,জানব তো তুমি আর আমি শুধু,
ইচ্ছে হলে, নাম দিও না হয় অন্য।


উচ্ছাসে ভেসে মেঘ এসে হেসে, জানাবে যখন এই সংবাদ!
আমরা কৌতুকের হাসিতে হেসে বলবো:
এই কথা! এ তো আমাদের জানাই ছিল।
এ আবার কি নতুন সমাচার!


দেখ আজ জমা দেওয়া নতুন পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরা চলছে অবিরত।  
লাফিয়ে উঠছে জালে অনেক অনেক চকচকে রুপোর টাকার মত মাছ!
ওদের লেন-দেনের পালা চুকলে মাছরাঙার আর কবির চাই কেবল শান্ত স্থির জল।
যেখানে মেঘের প্রতিবিম্ব এসে ধরা দেয়, কথা বলে।


এসো না আজ নিভৃতে কাছে!
নিমতার বৈঠকখানা ঘরে, কবিতার নিঃশ্বাস হয়ে চুপে!
আমার হাতে দাও তোমার ছন্দ কবিতা একখানি!
এক নিমেষে পড়ে, ছুঁটবো পুকুর ঘাটে!
আলতো ভাবে যাদুকরের গালিচা করে ভাসিয়ে দেব জলে!


ঐ শান বাঁধানো পুকুরের পানকৌড়িরা
আর তে-চোখো মাছেরা আসবে ধেয়ে,
তোমার শব্দ নিয়েওরা করবে কতক খেলা!
করবে ফুটিফাটা,তোমার কবিতা পাবে ছন্দের আসল যাদু এবার!
তার পর! তার পর, স-ব ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে নিঃশব্দে ওরা,
......যেমন চলে গেছ তুমি একদিন!


তরঙ্গের জাদুতে মিশে,ভেসে ভেসে,
ছেলেবেলার মেঘটা ঘিরে আসবে আবার।
আম-জামরুল-ফলসার বন পেরিয়ে,
তুলে নিতে এ জীবনের সব ঠোঁট-ভারী-অভিমান-ভার।
হুইল ছিপের ভাসমান ফাতনার মত চঞ্চল হবে সময়।


একটা কবিতা লিখো না তুমি কবি,না হয় কেবল আমারই জন্য!
তাতে কী এসে যায় কার,জানব তো তুমি আর আমি শুধু,
ইচ্ছে হলে, নাম দিও না হয় অন্য।



আমার কবি দাদু কে উৎসর্গ, ছোটো বেলায় যাঁকে নকল করে ছিটে ফোঁটা লেখা পুকুরের জলে ভাসিয়ে দিতাম!