এ পথে রয়েছে অনেক মুগ্ধ ভালোবাসা।
তোমার অনেক মায়াময় পথ চেয়ে থাকা।
ট্রাফিক সিগন্যাল এ অপেক্ষার রবীন্দ্রসংগীত।
আর পাগলের মতো খোঁজা একটু নিরিবিলি।

তারপর গলি থেকে গলি আরও কত অজানা গলিতে!
ছুটে আসা গাড়ির হেডলাইটের নিরীক্ষণ চোখ এড়িয়ে!
দেহ মিশে যাওয়া ভাষাহীন অন্ধকারে।
গাঢ় সবুজ গাছের পাতায়, সন্ধ্যাদীপের আলো-আঁধারিতে।


সেই চৌমাথা,রোড ডিভাইডার, ত্রিফলা আলো।
ঘাসভরা পার্ক, ঝিঁঝিঁর একটানা আবেশ।
রুপোসিনী নগরীর এল.ই.ডী। সাইনবোর্ড, আকাশের কালো।


গলে প্রায় নিশ্চিহ্ন হওয়া কূলফী মালাই, অভিমান,পরে রাগ ভুলে দমফাটা হাসি!
ঝিলের পাশ দিয়ে বেঁকে গেছে যে রাস্তাটা!
ইস্তারীর  দোকানের গলিটা যেটা বারবার ভুল হতো! -আজ ইতিহাস!


আজ একঝাপটা উদাসকরা এলোমেলো চৈত্র হাওয়া এনেছে তাদের  !
মনে পড়ে আমাদের কোনো কথা না বলেও অনেক কিছু বলার নিস্তব্ধতা?
দেখ এত আলোকবর্ষ পরে তারারা আজও কি ভীষন বাঙ্ময়!


দেখ! পেট্রোল জ্বালিয়ে সেই ইঞ্জিন টা আজও চলে যাচ্ছে
ধিক্ ধিক্ করে দূর থেকে দূরে ক্রমশ আরো অনেক দূরে।
অনন্ত আকাশে মৃতনক্ষত্র দের পাশ ঘেঁষে দিগন্তে।
কালপুরুষের মত উজ্জ্বল হয়ে, চলেছে সারারাত ধরে,মহাশূন্যে টাল খেয়ে!


বিদায়ী চিঠির মত চুপিচুপি এসে থামে সময়।
কানে কানে কৌতুক  করে বলে
"এবার ছুটি দাও আমি যে তোমার চিরস্থায়ী আইসক্রিম নই"।


হায়! কেন যে প্রেমেরও বয়স বাড়ে!
বুঝিবা সে চির অসমাপ্ত এক পাতাল রেলব্রীজ
জীবনের দুই পারের!