|| অগ্নিপথের একাকী যাত্রী ||
   - অভিজিৎ হালদার

আমি হারিয়ে যাওয়া পথের চিহ্নে
এঁকেছি পিপীলিকার বসতঘর,
যেখানে শীতের আঁধারে,
আলোর স্বপ্নে জাগে অপেক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ধুলোয় ঢাকা ইতিহাসে আমার পা,
যেন পুরনো কোনো গান—
ভুলে যাওয়া সুরের ভিতরেও
রয়ে গেছে নিঃশব্দ প্রাণ।

আমি শেষ নিঃশ্বাসের তৎপরতায়
বিপরীতে হেঁটেছি অগ্নিপথ,
জ্বলন্ত আগুনের শিখায়
জীবনের গোপন মানচিত্র খুঁজে ফিরি।
প্রতিটি ছায়া ছিল একেকটা গল্প—
ভাঙা দরজার ফাঁক গলে দেখা
শিশুকালের অব্যক্ত কাঁথা,
যা এখনও বুকের গভীরে কাঁপে
আবেগের অনামা রাত্রিতে।

পথ হারিয়েছি বহুবার,
তবুও প্রতিবার নতুন দিগন্তে
একটি করে শব্দ বসিয়েছি—
তোমার নামের ছায়ায়।
কখনো ভেবেছি, নিঃসঙ্গতা
শুধু নিস্তব্ধ নয়,
সে এক আয়না—
যেখানে আমি আমাকেই দেখি, ভিন্ন আলোয়।

ঘাসের উপর পিপীলিকার পদচিহ্ন
আমায় শিখিয়েছে ধৈর্য—
বিপন্ন পৃথিবীর বুকেও
নতুন করে ঘর বাঁধা যায়,
যদি ভালোবাসার খোঁজে নেমে পড়ে
একজন মানুষ, নিঃশব্দে।

আমি আগুনকে পাথেয় করেছি,
পুড়ে পুড়ে শেখা ভাষায়
লিখেছি অনন্ত পথের দিনলিপি।
পেছনে ছুঁড়ে ফেলা ছায়াগুলো
এখন আলোয় রূপ নিয়েছে,
আর আমি—
আমি এখন সেই পথিক,
যার পায়ের নিচে শুধু ছাই নয়,
আছে বীজ,
নতুন এক পৃথিবীর আশা।।