বৃষ্টি তুমি, ধরার বুকে নামো ধীরে ধীরে,
কোথাও রিমঝিম, ঝিরিঝিরি, মন কেড়ে নাও কিরে।
কখনো মুষলধারে, ঝমঝম শব্দে জাগাও ভয়,
নামের কত বাহার তোমার, বিস্ময় তো কম নয়।
শ্রাবণে তুমি বাদল, ঘন মেঘে আঁকাশ কালো,
কদম ফুলের সুবাসে মাতিয়ে তোলো ভালো।
আষাঢ়ে তোমার নাম বর্ষা, নদী ভরে ওঠে জলে,
কৃষকের মুখে হাসি ফোটে, সোনার ফসল ফলে।
কোথাও তুমি ঝর্ণা, পাহাড়ের বুকে ঝরো অবিরাম,
গান গেয়ে যাও আপন মনে, জুড়াও হৃদয়, ক্লান্তি দাও বিশ্রাম।
মরুভূমিতে তুমি সেরোন, হঠাৎ নেমে আসা জল,
প্রাণ ফিরে পায় শুকনো মাটি, ফোটে কত ফুল ও ফল।
শীতের দেশে তুমি স্নোফ্লেক, আলতো ছোঁয়ায় বরফ জমাও,
শুভ্র চাদরে ঢেকে দাও পৃথিবী, রূপকথার জগৎ বানাও।
বসন্তে তুমি এপ্রিল শাওয়ার, হালকা ফোঁটায় ভেজাও মাটি,
নতুন করে জেগে ওঠে প্রকৃতি, ফোটে কত রঙিন পরিপাটি।
বৃষ্টি তুমি বহুরূপী, তোমার কত না রূপ,
কখনো শান্ত, কখনো রুদ্র, কখনো বা চুপ।
তোমার স্পর্শে জীবন জাগে, তুমি অমৃত ধারা,
এই পৃথিবীর বুকে তুমি, চিরন্তন এক ধারা।।