শ্রাবণ এসেছিল একদিন, চুপিচুপি,
কিন্তু মেঘগুলো যেন হারিয়ে গেছে কবে!
নীল আকাশে রোদ্দুরের বিষণ্ন হাসি,
পাখিরাও ডাকে না, শুষ্ক পাতার কবরে।
আমরা ভাবতাম—শ্রাবণ মানেই বৃষ্টি,
কাঁদবে আকাশ, উড়বে কাদা-জল কল্পনা।
কিন্তু এ কী! — গাছের পাতাও পুড়ে যায়,
গরমে ফেটে যায় খরার উপাখ্যান।
তপ্ত বাতাসে গন্ধ নেই মাটির,
চাষির চোখে জমেছে সোনার লোনা জল।
জলাধার শুকিয়ে কঙ্কাল হয়ে দাঁড়ায়,
মাঠে ফসল নয়—ধোঁয়া উঠে শুধুই দলবদ্ধ কষ্টের কল।
পৃথিবী কি ক্লান্ত? না রাগে লাল?
আমরা কি তার আদরের সন্তান নই আর?
প্লাস্টিক, ধোঁয়া আর কার্বনের পালা,
হাওয়ায় বিষ ছড়িয়ে হাসছে সভ্যতার বাজার।
বৃষ্টির ফোঁটা আজ বিলাসিতা,
শ্রাবণ আর নেই—তার কণ্ঠস্বর নিঃশব্দ।
এ এক উষ্ণ পৃথিবীর গীতবিহীন প্রার্থনা,
যেখানে মেঘ নেই, শুধু অন্ধ আগুনের উদ্বোধন।
ওগো মানুষ, এখনও সময় আছে—
গাছ লাগাও, হৃদয়ে রাখো সবুজের ভাষা।
মাটির ঘ্রাণ ফিরে পাবে একদিন নিশ্চয়ই,
শুধু যদি শ্রাবণকে দিই আবার তার পুরোনো আশ্বাসটা।