আমার সারা শরীরে দেশপ্রেম
স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য আকাশে জ্বলছে,
দু-নয়নে বিষের রক্ত জ্বলছে ফুটন্ত-;
সমাজে আজ আমি বিপ্লবী নেতা
দেশপ্রেমের অগ্নিশিখা দাঁও দাঁও করে জ্বলছে
জ্বালিয়ে দিচ্ছে গ্রাম-গঞ্জের সমস্ত ঘর- বাড়ি
তবুও স্বাধীনতা চাই!
প্রান্তরে প্রান্তরে লাশের পোড়া দেহ
রাইফেল আর গোলাবারুদের স্তূপ
ঐ ছুঁটে আসছে কামানের  গোলাবারুদ
চোখের আড়ালে সব নিমেষে ধ্বংস।
কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে দূর প্রান্ত থেকে
কর্কশ কন্ঠে কে যেন বলছে
স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবোই!
স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনো!আনো!
ভয় নেই আজ আমরা সাহসী
আমাদের সারা শরীরে বিপ্লবীর কড়া পোশাক
দু-হাতে বন্দুক আর অস্ত্র
এই নিয়েই যুদ্ধ লড়বো।
যুদ্ধের আগে লেখা জীবনের শেষ চিঠি
জানি না পোঁছাবে কি না!
রক্তের নদী ভেসে যাচ্ছে বাড়ির পথে
ধূলো ভরা পথ রব রব ভাব
প্রকৃতির বাতাস শ্বাশত
নিয়ে আসছে মৃত্যুর দুঃসংবাদ।
মেঘের গায়ে অলিখিত চিঠি জমছে
মুষলধারায় বৃষ্টি
তবুও যুদ্ধের শেষ নেই,
শেষ সম্বল আমরা তিন
বীর-বিক্রম-অভিনন্দন
এই নিয়েই আমরা তিন।
দেশের সীমানা পেরিয়ে
আজ আমরা বহু দূরে
চোখের সামনে ভেসে আসছে
অতীতের স্বপ্নভরা দিনগুলো;
হাসিমুখে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা
আর মেঘেদের আনাগোনা।
রক্তে রাঙানো লাল উঁচু পাহাড়
আমাদের কে হাত বাড়িয়ে কাছে ডাকে
তবেই তো স্বাধীনতা আসবে ভুবনে
নতুন সূর্য উদিত হবে পূর্ব আকাশে;
মৃত্যুর কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আমরা
জানি না শেষ যুদ্ধ জিতবো কি না!
হাতে মাত্র একটা রাইফেলের গুলি
পাল্টা আক্রমণে গুলিবিদ্ধ আমরা
লুটিয়ে পড়েছি আমরা ভুবনে
জীবনের শেষ যুদ্ধে পরাজিত
সারা শরীর রক্তে ভেজা
তবু মরতে চাই দেশের মাটিতে
কয়েকদিন পর পৌঁছেছি বহু কষ্টে
দেশের আজাদ সীমানায়:-
জীবনের শেষ বায়ুটি উড়ে গেল সবে
ভেসে গেল আমাদের মৃত দেহ নদীর পথে
স্রোতের জলে রক্তে লেখা
বীর-বিক্রম-অভিনন্দন
দেশপ্রেমিক তিন।।


০৭/০৫/২১