পৃথিবীর সকল মানুষ
হয়তো দুঃখ দিতে পারে
হাজারো মানুষের ভিড়ে ;-
তবুও দুঃখ সহ্য করে
যে মানুষগুলো বেঁচে থাকে
সেই মানুষগুলোই চিরস্থায়ী
আজকের সমাজের কাছে।
ভালোবাসার নামই জীবন
তবুও কত জন সত্যিকারের ভালোবাসতে পারে !
হয়তো যে মানুষটি ভালোবাসতে পারে
সেই মানুষটিই দুঃখ পাই বারে বারে।
বিষাদের কবিতা লিখতে লিখতে
এমনই হয় যখন বৃষ বৃক্ষ জাগে নয়নে
তখনি মৃত্যু কাছে ডাকে জীবনের দুয়ারে
সেদিন থেকে মনে হয় যেনো
বাঁচতে চাই আরো বেশি সুন্দর ভুবনে।



দুঃখ পেতে পেতে
জীবনের সময় একদিন হয়ে যাবে শেষ
তবুও দুঃখের প্রহরে লেখা প্রেমের ইতিহাস
রয়ে যাবে ডায়েরির পাতায় পাতায়।



পৃথিবীর সকল দুঃখ - ব্যথা
পাই না আশার আলো
তবুও বাঁচার আশায়
খুঁজে যায় চাঁদের আলো।
নক্ষত্রের জল হতে হৃদয়ে
কল্পনার দুনিয়া খোঁজে
মানচিত্র --- " প্রেমের মানচিত্র "
লাল পাহাড়ের গা বেয়ে
ঝরে পড়ে হিমালয়ের
বরফগলা জল হয়ে।



ডাকচিঠি - নীল খামের চিঠি
দিয়েছিলে তুমি আমারে
একদিন বৃষ্টিভেজা শহরের পথে ;-
সেই প্রথম তুমি আমারে বলেছিলে
হলুদ হেমন্তের পড়ন্ত বিকালের নীল প্রহরে
ভালোবাসবে আমাকে আজীবনে।
আজ কেন দুঃখ পাই মানবের হৃদয়
কেউ কি পারে তাঁর খোঁজ দিতে ?
পারে কি তাঁরে আগলে রাখতে ?
জানি আমি পারে না কভু ;
কেননা দিনে দিনে মানবের হৃদয়
শুকিয়ে যাচ্ছে গোলাপের পাপড়ির মতন।



পৃথিবীর সকল সুন্দর মানব
ঝরে যায় ফুলের পাপড়ির মতো
যেমন করে ঝরে পড়ে শত শত সুন্দর ফুল
ঠিক তেমনি করে ঝরে পড়ে প্রান্তরের বুকে।



মানুষের বিলাসিতা করেছে ক্লান্ত
জন্ম-জন্মান্তের প্রেমের ইতিহাসে
ঠিক শতযুগ থেকে উঠে এসে
আজকের নতুন শতাব্দীর যুগে,
তবুও দুঃখ দিতে পারে মানুষ
অসহায় ভাঙা মানুষটিকে।।