সাদা কাগজ, নীরব কাগজ, কথা রাখে চুপিচুপি,
কলম ছুঁলে খুলে পড়ে, অতীত-ভরা কুয়াশা টুপি।
তোমার বুকেই স্বপ্ন আঁকা, প্রেমের চিঠি, প্রতিশ্রুতি,
শিশুর হাতে প্রথম অক্ষর, কবির মনে অনুভুতি।
দপ্তরে তুই হিসেব রাখিস, দুনিয়ার বড় হিসাবী,
আবার তুইই উড়ে বেড়াস, বাতাসে হালকা এক খেয়ালি।
রেখেছিস তুই রাজার ফরমান, বিদ্রোহীর কণ্ঠস্বর,
কখনও তুই শান্তির বার্তা, কখনও বিদ্যুৎ-ঝড়।
কোনোদিন তুই নৌকা হোস, শিশুর জলভরা খেলায়,
আবার হোস পাখির পাখা, স্বপ্ন-ডানা মেলে যায়।
চিত্রশিল্পীর কল্পনার ছায়া, ইতিহাসের ক্যানভাস,
তোর শরীরে বাঁধা থাকে, যুগ যুগের বিশ্বাস।
জ্বলে তুই রাগে, পুড়ে ওঠে প্রমাণ, চিহ্ন, পরিচয়,
আবার তুইই বাঁচিয়ে রাখিস সভ্যতার এক অংশ লয়।
একটুকরো তুই কাগজ হলেও, তোর যে কত রূপ!
নির্বাক থেকেও তুই তো সবই বলিস, নির্ভুল এক প্রতিপ্রূপ।।