কিছুই বুঝিনি আমি একা
আমাদের চলার পথ ভিন্নতা
মানুষ আসে মানুষ ফিরে যায় অনতিদূরে
কেউ কারো জন্য থেমে থাকতে পারে না।
একান্ত আপন গাছের পাতাগুলোও একসময় ঝরে যায় নিঃশব্দে নির্মল।
খোলা বাতাসের দ্বারপ্রান্তে কেউ আসেনি উড়ে যাওয়ার ভয়ে।
আমি যুবকের চেয়েও যুবক হয়েছি বিষণ্ণতার জনসমুদ্রের উদ্যানে।
অনেক স্বপ্নের যেমন স্থায়ী ঠিকানা থাকে না তেমন আমি আশাহীন নীরব - পুরোটাই জড়তার সমান।
এইসব কবিতা গ্রাম বাংলার পথ ছেড়ে বেরিয়ে শহরের পথে পথে শূন্যতার ভিড় বাড়ায়
জানিনা জীবনের অন্ধকারে ঘাসের আতঙ্ক ছড়ায় কখন কিভাবে তবুও মানুষ পরাজয় বোঝেনি কিংবা মৃত জোনাকির লাশ কেউ ছুঁয়ে দেখেনি !
একসময় শুকিয়ে গিয়ে মৃত জোনাকির লাশ বিলীন হয়ে যায় চিরতরে
নিষিদ্ধ অরণ্যের দিনরাত্রি পেরিয়ে মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে বিন্দু বিন্দু বিসর্গ চেতনার সন্ধিক্ষণে।


কিছুই বুঝিনি আমি কিছুই বলিনি আমি
আমি জানলাম আমাদের গ্রামের ধূ ধূ প্রান্তর হতে বাতাসের শুকনো পাতার ওড়াউড়ি একতরফা আমার হৃদয়ের সমান।।