১. প্যারিসের পথে
আমি: বনজুর মাদমোয়াজেল! এই সন্ধ্যায় প্যারিসের আকাশ যেন তোমার চোখের মতোই মায়াবী।
সে: (হেসে) বনজুর মসিয়্যু! আপনার কথাগুলোও তো কম সুন্দর নয়। এই শহরের আলোয় আসলে সবকিছুই সুন্দর লাগে, তাই না?
আমি: ঠিক বলেছো। কিন্তু আমার মনে হয়, কিছু সৌন্দর্য কেবল সেই আলোতেই ফোটে, যেমন তোমার হাসি।
সে: (লজ্জা মাখা হাসি) আপনি কি প্রায়ই এমন কবিতা বলেন?
আমি: যখন আমার সামনে কবিতার মতো কিছু থাকে, তখন মুখ বন্ধ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

২. ইতালির কোনো গ্রামে
আমি: বুওনাসেরা বেলা! এই শান্ত সন্ধ্যায়, আঙুর ক্ষেতের পাশে দাঁড়িয়ে, তোমার কণ্ঠস্বর যেন কোনো সুরের মতো ভেসে আসছে।
সে: বুওনাসেরা! আপনি কি ইতালির সৌন্দর্য দেখতে এসেছেন? নাকি অন্য কোনো সুন্দরীর খোঁজে?
আমি: (চোখে চোখ রেখে) ইতালির সৌন্দর্য তো দেখছিই, আর আমার মনে হয়, তার সেরা রূপটি আমার সামনেই দাঁড়িয়ে।
সে: (আলতো হেসে) আপনি ইতালিয়ান নন, তবুও এত সুন্দর করে কথা বলছেন!
আমি: সুন্দর কিছু দেখলে সুন্দর কথা আপনাআপনিই আসে, বেলা।

৩.জাপানের এক বাগানে
আমি: কননিচিওয়া, ও-জোসামা! চেরি ফুলের এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশে, তোমার উপস্থিতি যেন প্রকৃতির পূর্ণতা এনে দিয়েছে।
সে: কননিচিওয়া! আপনি কি এই বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন? আমার মনে হয়, ফুলেরা আজ বিশেষভাবে ফুটেছে।
আমি: হ্যাঁ, এবং আমার মনে হয় তার কারণ তুমি। তোমার স্নিগ্ধতা এই ফুলদের আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
সে: (মাথা নত করে হেসে) আপনি খুব মিষ্টি কথা বলেন। জাপানি সংস্কৃতিতে এমন প্রশংসা খুব কম শোনা যায়।
আমি: সুন্দর কিছু দেখলে প্রশংসা না করে থাকা যায় না, আমার মনে হয়।

৪. ভারতের কোনো নদীর ধারে
আমি: নমস্কার প্রিয়তমা! গোধূলির এই রক্তিম আভায়, নদীর শান্ত জলের পাশে তোমার মুখখানি যেন এক পবিত্র ছবি।
সে: নমস্কার! আপনি কি দূর দেশ থেকে এসেছেন? এই সময়টা নদীর ধারে বড়ই শান্ত লাগে, তাই না?
আমি: হ্যাঁ, আমি বহু দূরে থেকে এসেছি, কিন্তু এই শান্ত পরিবেশে তোমার সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে যেন সব দূরত্ব ঘুচে গেছে। তোমার চোখের গভীরতা যেন এই নদীর থেকেও বেশি রহস্যময়।
সে: (চোখের পলক না ফেলে) আপনি কি সত্যিই তাই মনে করেন?
আমি: আমার হৃদয় তো তাই বলছে। এমন সুন্দর মুখের দিকে তাকিয়ে অন্য কিছু ভাবা কঠিন।।