শূন্য পাখির ডানায় জেগে ওঠে স্মৃতি,
সবুজ বন হারায় শব্দহীন নিঃশব্দে —
এক সময় গুঞ্জন ছিল, ফুলে ছিল ঘ্রাণ,
আজ কেবল ধুলো, আর বাতাসে বিষাদে।

নদী গায় না গান, স্রোত তার ম্লান,
পাহাড়ের হৃদয়ে ফাটল ধরে গেছে —
চাঁদের আলো পড়ে নিঃসঙ্গ মাঠে,
কেউ আর চোখ তুলে দেখে না সে রূপে।

নক্ষত্রেরা ভাবে, কী হলো সেই প্রাণ?
যে পৃথিবী হাসত শিশুর মতন —
আজ সে ক্লান্ত, বিষণ্ন, ঘুমহীন,
ভবিষ্যতের কাছে শুধু এক প্রশ্নচিহ্ন।

পাখিরা উড়ে যায়, ফেলে রেখে বাসা,
জানালা বন্ধ, মন জানে না আশা।
বৃক্ষেরা দাঁড়িয়ে — নীরব সাক্ষী,
বিরহের এ গল্পে নেই কোনো মিথ্যা।

তবুও, দূরে এক শিশু হাত বাড়ায়,
পৃথিবীর বুক ছুঁয়ে বলে— “আবার হাসো!”
আকাশ শুনে কেঁপে ওঠে হালকা,
ভালোবাসা কি ফিরবে ফিরে নতুন আলো?