রাত্রি ঘনালো মিশরের পিরামিডে
আলোয় আলোয় আলোকিত সমস্ত পথ।
থাকুক না হয় একটু বিভেদ
আজি ব্যর্থ গোধূলি লগ্নে।
অজস্র জন্ম ধরে যে পথ খুঁজেছি
তাহা বিশ্ব মহানগরীর দ্বারে।
হে সমাধি মমির সমাধি
শতাব্দীর নিত্য নব সমাজের মাঝে।
কলকাতা শহর ভরে গেল আলোর রোশনাই
যদি খানিকটা বৃষ্টি ঝরিয়ে দেয় শিল্পীর চিত্রে
তবুও দাঁড়িয়ে রবে পিরামিড-
দাঁড়িয়ে রবে স্থিরময় প্রাচীরের মতন।


রাস্তার একপাশ থেকে অন্যপাশে
অতিদীর্ঘ মনুমেন্টের গা ঘেঁষে
কিঞ্চিৎ পরিমাণ আকাশ নেমেছিল নীচে।
নীল আকাশের মেঘের মতো
মায়াবী আলোয় কলকাতা শহর ডুবে গেল
মানুষের ভিড়ে কিংবা মূর্ত আনন্দে।


হাতের মুঠোয় রুদ্ধ তলোয়ার
মাঝপথে থেমে গেল ছায়াপাতে।
আজো জাগিয়া আছে পিরামিড
মমির রাশি রাশি কঙ্কালে।



মৃত পিরামিড জীবন্ত মানুষদেরকে খোঁজে
দুরন্ত আলোর গতিপথে।
মিশরে যাওয়ার সমস্ত পথ থেমে গেছে
তবুও সময়ের স্রোতে পিরামিড বহমান:-
উজ্জ্বল নক্ষত্রের পত্তনে
লিখা হয়েছিল ইতিহাস শহরের চত্বরে
নীল ডায়েরির পাতাকে ছিঁড়ে নিয়ে।


মাইলের পর মাইল বিহ্বলতা
হয়তো বিরল মরুভূমির সংকল্পে
স্নিগ্ধ প্যারিস কিংবা বর্ণময় আইজান।


রাত্রি ঘনালো মিশরের পিরামিডে
আলোয় আলোয় আলোকিত সমস্ত পথ
তবুও সমাধি ঢেকে গেছে প্রচুর অন্ধকারে।
নিশানাহীন পৃথিবীর চারিদিকে লাল সংকেত
দাঁড়িয়ে আছে মানচিত্রে
একদিন হয়তো প্রেতাত্মার পাহাড়ে
মানুষেরা চরম সংকটের মাঝে।


ইচ্ছার বিপরীতে ভাবনার ব্যাঘাতে
পৃথিবীর রাত্রি শেষ হয়ে গেছে
তবুও মিশরের পিরামিড সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে।



যে শক্তি আমারে দিয়েছে মিশরের পিরামিড
সে শক্তি আর নাহি যেন্ পায় অন্যজনে!
আমি আবার এখানেই আসিবো ফিরে
মিশরের সমাধি হতে নীল বাংলার প্রান্তরে।
অচেনা পথে সবুজ ঘাসের শিশিরে
জমে আছে অতীতের কত ধুলো;
দূর মহাকাশের স্যাটেলাইট জীর্ণ হয়ে গেছে
উবে গেছে সমস্ত ক্ষমতা হাজার হাজার ব্যস্ত চাপের কাছে।
রাজনীতির ক্ষমতা একদিন লীন হয়ে যাবে
আমার ভাবনার সমস্ত কবিতার কাছে;-
সেদিনও আমি আবার আসিবো ফিরে
ব্যস্ত কলকাতার তিলোত্তমা নগরীকে পিছে ফেলে।
হে পিরামিড ব্যগ্রতা মহত্ত্বে
তুমি দাঁড়িয়ে রবে চিরকাল বিষন্ন রোদ্দুরে।।



                   ২৫/১২/২০২১
              --দ্বিপ্রহর(মোবারকপুর)