ধূসর বেলায় কাঁপে পুরনো দিনের শ্বাস,
পাথরের বুকে লেখা কত দীর্ঘ ইতিহাস।
সিন্ধু নদীর তীরে মোছেনি আজও রেখা,
মেসোপটেমিয়ার ধূলিতে লুকানো কত শেখা।
পিরামিডের স্তম্ভ আজও দাঁড়িয়ে বিশাল,
যেন ফারাওদের অমরত্বের সে এক দেওয়াল।
চীনের প্রাচীর যেন সাপের মতো বাঁকা,
কত সম্রাটের স্বপ্ন, কত যোদ্ধার আঁকা।
অলিভ গাছের শাখা প্রাচীন কালের সাক্ষী,
ভূমধ্যসাগরের তীরে আজও সে বাঁচে নাকি?
সুমেরের লিপি কাঁদে মাটির গভীরে,
প্রথম অক্ষরের কথা যেন আজও ফেরে।
ভারতের সিন্ধু সভ্যতা ঘুমিয়ে আছে চুপ,
হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো যেন বিস্ময়েরই স্তূপ।
আফ্রিকার গিরিখাতে আদিম মানুষের পদ,
লক্ষ বছরের পুরোনো সেই নীরব প্রবাদ।
আসমান ছুঁয়ে আজও রয় পর্বতমালা,
হিমবাহের স্রোতে লেখা অনন্তের পালা।
সমুদ্রের অতলে ঘুমায় কত প্রাচীন প্রাণ,
পৃথিবীর বয়স যেন এক অনন্ত গান।
এই ধরণীর বুকে কত স্মৃতিভার,
প্রাচীনত্বের ধ্বনি আজও বহে অনিবার।।