শতাব্দীর পর শতাব্দী সময় বয়ে যায় নীরবে
নিভৃত নির্জন পথে দাঁড়িয়ে আছি আমি একা
নিরাশার নিষিদ্ধ অরণ্যের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনে।
কেউ কোথাও নেই নিঃশ্বাসে বেরিয়ে আসে বিষ
বারুদের পাহাড়ে আগুন লাগা প্রহরে টিকে নেই কেউ
শূন্যহারা বিবেকের গাঢ়ত্ব অন্ধকারে বিলীন হয় সুরঞ্জনা উপমা রজনীর নিস্তব্ধতায়।


বুকের ভেতর নীলচে দহনের জোয়ারে ভেসে যায় অসংখ্য নদী
শতাব্দীর পর শতাব্দী চলে যায় শহর ছাড়িয়ে শহরে
নক্ষত্রের বুকে ঠাঁই নেই মানুষের
পৃথিবীর পথে হাঁটছি ছায়াঘেরা দিবসে
নতুনের রঙে রাঙিয়ে উঠেছে পৃথিবীর দুটি দীর্ঘতম শীতল চোখ
রক্তের ঘাসে ভেসে যাওয়া পাতার ব্যবধানে চেয়ে অপ্রত্যাশিত প্রবঞ্চনার দোরগোড়ায়।