একদিন চল না বেশ, আমার সাথে!
বেরিয়ে যাই দিকশুন্যপুর!
চল যাই হারিয়ে, এ শহর ছাড়িয়ে,
পায়ে পায়ে চলে অ-নে-ক দূর।


ধরো আশ্বিন মাসের কোনো এক কাক ভোরে,
যখন শুকতারা জ্বল জ্বল করছে আকাশের গায়!
তখনও  ঐ কাগজ-কুড়ানো-ছেলেটির
দু-মুঠোর ক্লান্ত রাত শেষ হয়নি রাস্তায়
স-ব ল্যাম্প পোস্টের চোখে চোখে
জমে আছে রাত জাগা ঘুম
পৃথিবী তখনও কত নিরব, নিঝুম।


আজ আর থীম প্যান্ডেলে নয়
এসো,দেখবো আজ পুজো এসেছে : -
সকালের প্রথম রোদ্দুরে,
স্কুল ছুটির বেঞ্চ উল্টোনো অলস বারান্দায়,
নিজের মনে ছুটে চলা শহরতলির ঘুমন্ত ট্রেনের কামরায়
দূরে ধানকাটা ফসলের ধূসর আবছায়ায়,
সবকিছু মিলিয়ে যাওযা দিগন্তের পারে ঐ ঠিকানায়,
নিরালায় অভিমানী বাঁকে গ্রামের নিবিড় তালসারি তে,
ঘাসের উপর খেলে যাওয়া শরতের উদাস হাওয়ায়,
ঢাকীর ঢাক বাজে কোথাও,
সোনালী আলোয় প্রকৃতি ধুয়ে যায়!


দশমীর সাথে হবে উৎসব শেষ
আবার মলিন হবে মানুষের মন।
দিকশুন্যপুর তবু ডেকে নেয় কাছে,
যদি যেতে পারি সে পথে ভুলে একদিন,
কারো মন তো অসীম অনন্তের পথে যেতে চায়!
শুধু  মনে হয় কার কীএসে যেত
মানুষ যদি এমন সহজ হতো
যেমন মাতোয়ারা হয়ে আজ শরৎ এর উৎসবে ধায়
হিংসা ভুলে অসুরও যদি,
হা হোসেন আক্ষেপে বিনম্র হতো
বাবরি মসজিদও বুঝি বেঁচে যেত,
মা দূর্গার ত্রিশূল খোঁচায়!