শুনেছিলাম, তুমি ধর্ম মানোনা;
তুমি না-কি নাস্তিক।
শুনেছিলাম, তুমি মানব দরদী
তোমার আদর্শই ঠিক।
আজ তোমার আদর্শ কোথায় গেল?
সমস্ত নীতি পথ হারাল!
অন্ধ ধর্মের বাজারে বিক্রি হয়ে গেল -
সমস্ত নীতি! সমস্ত আদর্শ! বলো!
তোমার আদর্শ কোথায় গেল?
শুধু কিছু ভোটের জন্যে
সব নীতি চুলোয় গেল!
তবুও বলবে -
তুমি নাস্তিক?
তবুও বলবে -
তোমার নীতিই সঠিক?
কোথায় শেষ হবে
তোমার এই নীচে নামার অভিযান!
তোমার তুমি গুলোকে ব্যাখ্যা করার
ব্যাখ্যাও এখন অমিল
তোমার এক তুমি গায় মিলে থাকার গান
আরেক তুমির বিভেদের দিকে টান
সত্যিই ব্যাখ্যা মুস্কিল!
"অভিধান!"
সে হাত তুলে নিয়েছে!
বিলুপ্ত শঙ্খচিল! বিলুপ্ত ব্যাখ্যা!
মাঝে ধায় ভিড়ের মিছিল।
দুই সমান্তরাল আচরণের মিছিলে সাক্ষী সময়
পথে দ্বিচারিতা লেখা
ব্যাখ্যা অমিল।


তোমার আচরণ তোমার অভিধানেই ঠিক
সবার জানা।
কিন্তু, সত্য ঘটনাকে মানে,
ধারণার ধার ঘেঁষা - তার মানা
জানি ভাবছো - তোমার দ্বিচারিতাগুলো
কারও চোখে ধরা পড়েনি।
কারও না! কারও না! ঠিক কিনা?
তাছাড়া, ভিড় কবে দেখেছে এসব!
দেখলেও এসব নিয়ে ভেবেছে কবে!
ভাবলেও কদিনই বা মনে রাখে?
সব ভুলে যায়! সব! সব!
সবটা ভুলে যাবে,
ভাববে না,
সময় কোথায়! ঠিক কিনা?
যদি ভেবে থাকো
সময়ের প্রবাহে মুছে যাবে পাপ,
তবে বলি - মোছে না;
সব লেখা থাকে; সময়ে;
সময় হলে সময় হিসাব চায়;
কেউ পার পায়নি; তুমিও পাবেনা;
সত্যিই পাবেনা।
জানি, তবুও তুমি সেই ভাবনাতে লীন,
যে ভাবনায় লেখা - তোমার দিন ফেরার কথা, হীন!
তুমি সেই ভাবনাতে লীন।
জানি, তবুও তুমি সেই ভাবনাতে লীন,
যে ভাবনায় শুধু তোমারই ফিরবে দিন,
আমাদের না। ঠিক কিনা? হীন!
কিন্তু, তুমি কি জানো?
ছিন্ন বিনা, না বাঁধলে, সুরে বাজেনা।
তুমি কি জানো?
হৃদয়হীনা যতই ভালোবাসা পাক;
কাছে ফেরেনা।
তোমার থেকে যে ভিড় সরেছে,
সে ভিড় হাত ধরেছে তোমার দোসোরের;
ভিড় মজানো বিদ্যায়
সে যে তোমার থেকেও বেশি
পারদর্শী, সবার জানা।
জানি, এ বিদ্যা তোমার শেখানো;
যখন তুমি ক্ষমতায় ছিলে,
তখন তুমি লুকিয়ে চর্চা করতে,
সে করছে প্রকাশ্যে;
তাই হয়তো তুমি ভাবলে যে,
পুরোনো জুতায় নতুন পা গলানো যাক। ঠিক কিনা?
কিন্তু, গামছাটা যে আলগা হয়ে গেছে;
সেটা তুমি ভুলে গেলে।
ফল - নগ্নতা আলো দেখলো;
তোমার মুখ আর মুখোশ মিলে একাকার;
তবুও তুমি চোখ বুজে ভাবছো যে,
তুমি ন্যাংটা না। অদ্ভুত!
তুমি চেষ্টা করেই যাচ্ছ,
চেষ্টা করেই যাচ্ছ,
চেষ্টা করেই যাচ্ছ,
এটা প্রমাণে যে, তুমি ন্যাংটা না।
কিন্তু, সভ্যরা, তোমার নগ্নতা দেখে ফেলেছে,
লিখে ফেলেছে - তুমি ন্যাংটা।
তবুও যদি ভাবো যে, কেউ তোমাকে দেখেনি,
সেটা শুধু তোমার ধারণা; শুধু তোমার;
আমার না।
নয়ন দেখেছে, মন দেখেছে,
মুখ না বলুক, কলম লিখে নিয়েছে -
তুমি ন্যাংটা।
জানি ভাবছো, বেশ ঠকিয়েছো!
কেউ বোঝেনি, কেউ না।
ওহে উজবুক! তুমি ভিড়কে ধোকা দিতে পারো;
বীরকে না।
তুমি নয়নকে ধোকা দিতে পারো;
মনকে না,
কলমকেও না।
সব লিখে রাখা হল
জবাব তোমায় দিতেই হবে
কলমের জোর বোধহয় এখনও বোঝোনি....জানোনা,
অতৃপ্ত প্রাণ!
কেউ বুঝুক বা না বুঝুক; কলম বোঝে,
তাইতো লিখে রাখে
বুঝেছ শয়তান!
ক্ষমতা বড় বালাই,
তাই তোমার ভিড় চাই
তাই ভিড়কে সুড়সুড়ি দেওয়া,
তোমার দায় হতে পারে,
কলমের না।
তাই লিখে রাখা হল।
সময় হলে, সময় ঠিক হিসেব নেবে।
পাপ করলে সাজা তো পেতেই হবে,
আজ নয় কাল
ঠিক সাজা হবে।
ক্ষনিকের লাভের মোহে,
বহুবার তোমার স্খলন দেখেছে সময়।
যতবার তা ঘটেছে
লিখেছে কলম, কলমই লিখেছে!
তবে এবার, আগের সবটাকে ছাড়িয়ে গেছো তুমি,
ক্ষমা নাই! লিখলাম,
তোমার পাপের বিবরণ রেখে গেলাম লেখায়
বিচার হবে; হতেই হবে।
তুমি ভিড়কে ঠকাতে পারো;
কিছু সময়ের জন্যে,
কিন্তু যে পাপ করেছ
তার বয়ান তো সময়পথে লেখা,
ধরা ঠিক পড়বে, ধরা পড়বেই,
একদিন।
যেদিন আজকের কবর খোঁড়া হবে,
সেদিন তুমি ধরা পড়বেই।
কোথায় পালাবে?
তুমি নগ্ন হয়ে গেছো,
হয়তো সময় লাগবে আরও
বিচার হবেই, হয়।


ভুল, কাজে হলে, মাফ আছে,
কিন্তু যে ভুল চিন্তায়
তার সমাধান - বর্জনে,
বর্জন অনেকে করেছে,
তবু তুমি মত্ত গর্জনে;
ফাঁকা কলসির আর্তনাদ,
দোকান আছে, সামান আছে,
গ্রাহক বাদ,
হে ভন্ড! এখনও চিৎকার করছো!
কারন একটাই - অবসাদ।
বহুদিন ক্ষমতার স্বাদ চেখে দেখা হয়নি
তাইতো এতো চিৎকার
বিপ্লবতো কথার কথা
বলতে হয় বলো। ঠিক কিনা?
আসল হল ক্ষমতা,
সবই ক্ষমতা!
নীতি - আদর্শ - মূল্যবোধ, এসব বক্তৃতা ভরানোর অলংকার,
আসল ক্ষমতা,
এমনিতে নীতিতে কবেই বা ছিলে?
সবই নাটক! সবই ক্ষমতার আশ!
তবে এভাবে বিপরীতে লাফ,
তোমার মধ্যে যেটুক নীতি বেঁচে ছিল,
তাও সাফ করেছে।
এখন শুধুই খোলস; আঁশহীন বাঁশ,
কিচ্ছু নাই! কিছুই নাই! ক্ষমতার আশ ছাড়া।
নেতা, নীতি থেকেই সরেছে
আর কি কিছু বাকি আছে, খোয়াতে?
নীতি, ফুটো হলেও নীতি,
কিন্তু যদি সেটাও না থাকে
তবে থাকে কী?
ডুমুর ফুল। ঠিক কিনা?
তুমি যার বিরুদ্ধে লড়ছো বলে নিজেকে জাহির করো,
সেই যদি বন্ধু হয়ে যায়,
লড়াই কিংবা নীতি কী বাঁচে?
না! নীতি মরে যায়,
লড়াই মাঠেই মারা যায়,
তবুও তুমি মানবেনা, জানি!
তুমি মানবেনা - তুমি ভুল,
যদিও ডুমুর গাছ মানে,
তার শাখায় ফুল ধরে না
কিন্তু কম - রেডরা লালে না থেকেও লাল; নীল না।
কোন ধান্দাবাজ মানে - সে ধান্দাবাজ?
কোন চোর স্বীকার করেছে - সে চোর?
পাপীর ভুল স্বীকার : ডুমুর ফুল
তুমি কুল হারিয়েছো, কুল!
এখন ধান্দাগুলো খালিচোখেও দেখা যাচ্ছে
নিতম্বে লেগে দেউলিয়াপনার ছাপ।
নীতি সাফ, আদর্শ সাফ, পড়ে আছে -
শুধুই ধান্দা! ধান্দা! আর ধান্দা!
আর ফুটো ইনকালাবের স্বপ্নমাখা ভাষণ।
নায়ক হওয়ার সমস্ত রসদ ছিল তোমার নীতিতে,
যদি চিন্তাগুলো পুকুরে আটকে না থেকে
নদীতে বইতো,
পুরাতন চিন্তার অচলগুলোকে ফেলে,
সচলগুলোয় নুতনগুলোকে  মেলাতে,
তাতে হয়তো কিছু দ্বীপ ডুবত
কিন্তু, নতুন নতুন চর
তৈরি হোতো।
যদি চিন্তাগুলো পুকুরে আটকে না থেকে
নদীতে বইতো; নদীর মত বইতো।
কিন্তু তা তুমি করোনি।
কারন তুমি উদার নও।
নুতনে তোমার ভয়।
পাছে তোমার বিশ্বাস বদলে যায়,
পাছে নুতন, তোমার ধান্দা গিলে খায়;
মাটিতে মেশায়।
হয়তো তাই এত ভয়।
তবুও মিলছে না!
যদি তাইই হোতো,
তুমি নীতিতে জোর দিতে, ক্ষমতায় আসাতে নয়।
আসলে, তুমি কোনোকালেই নীতিতে ছিলে না;
তুমি চিরকালই ডুবেছিলে ক্ষমতার মোহে।
ক্ষমতার নেশাতে।
তুমি কোনোকালেই নীতিতে ছিলে না।
আসলে নীতির পরিমার্জন কিংবা সংস্করণ,
তোমার পুরাতনকে,
প্রশ্ন চিহ্নের সামনে দাঁড় করায়,
তোমার গতকালকে আজকের সাথে লড়ায়,
হয়তো এই ভয়টাই তোমার হাত বাঁধে, বাধা দেয়
পরিমার্জনে।
পাছে এটা ক্ষমতায় আসার অন্তরায় হয়।
কিন্তু তাই যদি হয়, নীতিটার যাপন নাই হোক,
পারতপক্ষে বেঁচে তো থাকতো!
সেটা কোথায়? সে কি বেঁচে আছে?
ধান্দার গলিতে হারিয়ে গেছে,
বিভেদের স্রোতে ভেসে গেছে,
চিন্তা হারিয়েছে ক্ষমতার চিন্তায়।
তাই, তুমি বদলাওনি - এই ভাবনাও আজ ঠিক নয়;
তুমি বদলেছ নীতির জন্য নয়; ভোটের জন্য,
লোকে বদলায় আরও উন্নত হওয়ার জন্যে;
তুমি বদলালে ভোটের জন্য।
ফল: অধঃপতন! আরও! আরও বেশি অধঃপতন!
এমনিতে জং ধরেছিল বহুদিন
এখন তুবড়ি নেভার আগে শেষ বারের মত
বেহায়া চিৎকার।
নেভার আগে, না নেভার শেষ চেষ্টা,
খসে খসে পড়ছে লালসার চাঙড়,
তুমি যে নীতির গান গেয়েছ এতকাল
আজ সেই নীতিতেই তুমি নেই,
প্রকটেও না; প্রছন্নেও না।
রেল কবে হাওয়ায় উড়েছে?
ফানুস আর মানুষ এক না,
তুমি স্বধর্ম-চ্যুত।
তুমি এখন তুমিই না!
আর আমি! তোমাকে নিয়ে
কত উঁচু উঁচু চিন্তার উল বুনলাম!
তুমি দেউলিয়া হয়ে গেছো,
আদর্শ হারিয়েছো,
লাইনচ্যুত বগির ফের ট্র্যাকে ফেরার স্বপ্নে বিভোর হয়ে
তুমি দেউলিয়া হয়ে গেছো,
আদর্শ হারিয়েছো।
এমনিতে নীতিটা, ফুটো হলেও ছিল।
এখন তাও হারিয়েছে। অবশিষ্ট - শুধুই হতাশা।
আসলে, তুমি বিপ্লবের স্বপ্ন বেচে,
নিজ ' ভোগ কেনার ব্যাপারী,
তুমি কোনোদিনই বিপ্লব চাওনি,
চেয়েছো বৈষম্য বেঁচে থাক।
তাই দাদু শুনেছে - বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।
বাবা শুনেছে - বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।
আমিও শুনছি।
কিন্তু, আসলে দীর্ঘজীবী হয়েছে বৈষম্য।
বিপ্লব আসেনি; এসেছে নৈরাজ্য।
দিন, সর্বহারার ফেরেনি, ফিরেছে তোমার।
তুমি কারবারি; বিপ্লবী না।
আজ ক্ষমতায় নেই তাই মুখে ধর্মকথা,
কাল ক্ষমতায় এলে
আবার স্ট্যালিন কবর থেকে উঠে বলবে - প্রতিবাদ! ঘুমো! বিপ্লব চলছে!
তুমি এখন স্বপ্নে বিভোর এক দেউলিয়া শকুন,
যে ভাগাড়ের দিকে রোজ চেয়ে থাকে ঠিকই,
কিন্তু মাংস চিলে খেয়ে যায়।
তবু আশা, একদিন দিন ফিরবে! ফিরবেই!
সর্বহারাদের না, তোমার।
তারা, তুমি ক্ষমতায় আসার আগেও সর্বহারা ছিল,
তুমি ক্ষমতায় যখন এলে, তখনও ছিল,
তুমি ক্ষমতা থেকে যখন গেলে, তখনও ছিল! (শ্লেষ)
হয়তো ফের এলেও থাকবে।
আসলে ওরা না বাঁচলে যে তুমি অপ্রাসঙ্গিক
তুমি শুধু ভাষণ দিয়ে শোষণ করতে জানো;
প্রতিবাদ জানো না।
তোমার প্রতিবাদগুলো যে ধান্দা খুঁজে
মুক্তি পায়।
আসলে, তুমি বুর্জোয়াদেরই জারজ বাচ্চা।
যে বাচ্চা বাবার সম্পদ তো চায়
কিন্তু গায়ে বাপের পাপের দাগ চায়না।
ঠিক কিনা?
কিন্তু পায়না।
হয়তো পায়না বলেই বাপের জাগায়
নিজেকে বসাতে চায়।
মার্ক্স হলো অস্ত্র। অস্ত্র ছাড়া আর কিচ্ছু না।
আসলে তুমি জনতায় নেই; ক্ষমতায় আছো।
তোমার সব প্রতিবাদ ক্ষমতা চায়।
বিপ্লব হলো সেই গাজর,
যা দেখিয়ে তুমি ক্ষেত লুঠ করার স্বপ্ন দেখো।
তুমি হলে সেই বিষধর সাপ, যে ক্ষমতায় না থাকলে সাপুড়ে হয়ে যায় আর
ক্ষমতায় এলেই বিষ ছড়ায়।
এখন তুমি সেই সন্ন্যাসী বিড়াল, যে ক্ষমতায়
আসার স্বপ্ন দেখছে,
দিন গুনছে, আর ভাবছে সেদিনের কথা, যেদিন
ক্ষমতার আস্ফালন ফের দেখানো যাবে,
বহুদিন লালচোখটা যে দেখানো হয়না!
বড় কষ্ট! খুব! খুব! খুব! কষ্ট,
লাল-চোখের ব্যবহারের অভাবে এবং ফান্ডের দৈন্যতায়
কম - রেডদের তেজ কমেছে বহুদিন।
হিমোগ্লোবিন বিলাসিতার স্বাদ পায়নি,
লালচোখগুলো ক্ষমতার খরায় পুড়ে গেছে,
রেটিনোলও হার মেনেছে।
এ যে, যে সে চোখ নয়; লালচোখ!
ক্ষমতায় এলেই জ্বলে,
গেলে নেভে।
এখন ক্ষমতায় নেই, তাই
রেটিনলের এতো তেজ কোথায়,
একে জ্বালাবে;
ক্ষমতা পেলেই জ্বলে কিনা! (বিদ্রুপ)
ক্ষমতায় নেই, তবুও আশা,
সেই আস্ফালন দেখানোর দিন ফিরবে।
ফিরলে, দাঁত, নখ, আবার ঠিক গজাবে।
হায়না কবে ঘাস খেয়েছে!
বেগতিক দেখে হায়না সারমেয় হয়েছে ঠিকই,
উচ্ছিষ্ট খাচ্ছে, হাহুতাশ করছে, সত্য।
কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূল হলেই স্ট্যালিন হবে,
স্বৈরাচার যে তোমার সখ্য।
দিনের শেষে ভোটে জেতা, ক্ষমতা লাভ,
যার অন্তিম লক্ষ্য,
তার মুখে, বিপ্লব - বিপ্লব চিৎকার, আসলে নাটক।
তাই চিন্তায় নয় ভিড়েই আটক হৃদয়।
সারা বেলা মুখটাই ভজে মার্ক্সের নাম,
মন আটকে খাওয়ায়, শুধু করে খাওয়ায়।
তুমি কোনোদিনই বিপ্লবী ছিলে না।
তুমি সেই মাতাল, যে খেয়ে নয়
খাইয়ে মাতাল হয়,
মঞ্চে উঠে শুধু লম্বা লম্বা কথা বলে,
ওগুলো আসলে তোমার বাহিরের আভরণ।
অন্তরে তুমিও দানব।
বহুবার, বহুভাবে, তা প্রমাণিত।
বৈষম্যের কথাগুলো তোমার কাছে সিড়ি,
তা দুর করার জন্যে বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিলোনা তোমার,
এখনও নেই।
আসলে বৈষম্য বেচে, ক্ষমতা কেনা তোমার অভ্যাস।
আসলে তুমি মার্ক্সেও নেই।
যদি মার্ক্সে থাকতে, তবে সেই নিয়ে এগোতে।
আসলে তুমি ভিড়ে আছো, ভিড়ে!
তুমি দেউলিয়া, ফারাক একটাই -
ওরা ঘোষিত ন্যাংটা,
তুমি অঘোষিত।
সারা গা খালি, শুধু চোখটাই বাঁধা;
হয়তো তাই ভাবছো ন্যাংটা না।
বাস্তবটা আমাদের। তুমি তো বিমূর্তের পিতা!
সব! সব! সব ব্যাটার! নজর ক্ষমতায়।
নীতি শুধু বইতেই থাকে।
ভোটে ভিড় লাগে
তাই তোমার চিন্তায় ভিড় ঘোরে
আমার নয়
যদি এটা না হয়
তবে খন্ডন কর জোর গলায়।
যুক্তি দিয়ে, খিস্তি দিয়ে নয়।
যদি তোমার চিন্তাধারা ঠিক হয়,
কেন? কেন? কেন? ভিড়ের প্রতি এত টান?
কেন সারাদিন গেয়ে যাও
শুধু ক্ষমতা লাভের গান?
কেন ভিড়ের প্রতি এত টান?
আসলে তুমিও তাদেরই মত;
সাধুবেশে শয়তান।
তোমার প্রতিটি কাজ
দ্বিচারিতার জলজ্যান্ত বয়ান;
তুমিও শয়তান।
নাম রেখেনিলে গ্যালিলিও
কেউ গ্যালিলিও হয়নি; হয়না,
নাম রেখেনিলে গ্যালিলিও
কেউ গ্যালিলিও হয়ে যায়না,
স্রোতের বিরুদ্ধে ভাসতে হয়
দেখাতে হয় আয়না;
দিতে হয় জান।
নাম রেখেনিলে গ্যালিলিও
কেউ গ্যালিলিও হয়নি; হয়না,
স্রোতের বিরুদ্ধে ভাসতে হয়;
দেখাতে হয় আয়না,
বুঝেছ শয়তান।
তুমিও তাদেরই মত সাধুবেশে শয়তান।