দীর্ঘ দেহী দিনের অন্তে
যুগের শেষ বৃদ্ধ রক্তস্নাত হয়ে
ফিরে যাচ্ছিল না ফেরার গঞ্জে
পশ্চিমে সীমাহীন লাল রেখা টেনে।
হাতে ছিল জীর্ণ লাঠি
মাথা ভর্তি ঝাঁকড়া শুভ্র চুলে ওজনহীন ধুলোবালি
সেসব সময়ের পা মাড়ানো
অতি ক্লান্ত, জীর্ণ আবক্ষে জড়ানো
চুপ করে নিভে গেলো সে
ভুবনের সব আলো নিয়ে।
সেলুলয়েডের পর্দা তখন কেবল কালোয় ঢাকা
কারো ফেরার অপেক্ষা ছিল না।
জগতের শেষ আশা টুকু যখন ফিকে হয়ে যাচ্ছিল
তখনই, ঠিক তখনই কারো পদধ্বনি বেজে উঠছিল
কেউ এসেছে, ভাঙ্গা রেকর্ডার ছিল না
সাথে কোন অভিযোগও ছিল না।
সে ছিল শিশির স্নাত
সমগ্র দেহে মুক্তোর হাসি মাখা
মগজে ঠাসা অশীতিপর অভিজ্ঞতা
আর হৃদয় জুড়ে ছিল তার বালকের বাসনা।
সে ছিল নিতান্তই সরল যুবক
কিন্তু কি তেজ তার হাসিতে
খুব সহজেই সে ভেঙে দিল পৌরাণিক ঘৃনা
দেয়ালগুলো ফেলে দিল অনায়াসে
যেগুলোর শিরায় আপ্লুত ছিল কেবল ঈর্ষা।
এসবের বদলে তৈরি করলো পুষ্পিত বাগান
পাখির কলতান, ফুলের অজস্র ঘ্রাণ।
ক্লান্তির ছিটেফোঁটাও ছিল না
তার চোখে, তার মুখে
শুধু ছিল বাষ্পীত আকাঙ্ক্ষা।
সব ছুঁয়ে, সব জুড়ে ছিল সে
একাকী হলেও নিভৃতে ভালবেসে গিয়েছে
বেচেঁ থাকার প্রত্যয়ে বেচেঁ আছে সে
এখনো প্রতিটি মানবের চেতনে।