আমি এখন বহু দূরে-
ধূলো-ধোঁয়ার নগর ছেড়ে অনেক দূরে
লোকাল ট্রেনে, ভীড়ের ঝড়ে যাচ্ছি উড়ে,
শেষ রাত্তিরের হুইসেলে ঘুম মাড়িয়ে
ধুম করে পড়বো নেমে, রাত্রি জুড়ে
জোনাক জ্বলা শিরোনামহীন ইস্টিশনে৷


ভোরের আলোয় টংয়ের চায়ে চুমুক দিয়ে
মন চলেছে হাঁটা পথে, নীহার রথের সুবাস নিয়ে;
প্রাচীন জোড়া পুকুর ধারে, নিরাতপ বটের তলে
বসবো একা পা ডুবিয়ে শীতল জলে৷


হয়তো আবার “সাতটি তারার তিমির” হাতে
হলদে রোদে হারিয়ে যাবো,
গা এলিয়ে উদাস দুপুর বসবে যখন আমার পাশে
শালুক বনের তালুক জুড়ে সাঁতার দেবো,
ক্ষুন্নিবারণ? শিশুর দলে নবান্নের শিরনি পাতে৷


নিস্তরঙ্গ চিলের ডানায় বিকেল রেখে-
কৈশোরের গোল্লাছুট আর বৌচি শেখা,
কাঁদা মাটির সোঁদা সোঁদা গন্ধ মেখে
সবুজ মাঠে ক্লান্তি নিয়ে আকাশ দেখা৷


পাখির স্রোতে করুণ সুরে সন্ধ্যা এলে-
কুঁড়ে ঘরে কুপির আলোয় অ আ ক খ,
আমি তখন রাতভর- চন্দ্রাহত খ্যাপার দলে
খঞ্জনিতে জাতিস্মরের গল্প শুনি,
ফেলে আসা বিষণ্নতার শহর ভুলে-
একটা জীবন নদীর মতো পারাবারের স্বপ্ন বুনি!