তুমি আমি মিলে
আমাদের নিশ্চুপ নিদারুণ গল্পে
একটা জীবন,
বেঁচে থাকতো তোমার আমার অনুভূতির মেলবন্ধনে
কোলাহলমুখর এক অদৃশ্য জগতে।

কতটা কাছাকাছির আনাগোনা,
ভোরের শিশিরের মতো মুগ্ধতার আবির মেখে আমরা
এঁকেছিলাম শিহরণের দোলা,
দেখেছিলাম দুজনার চোখে লক্ষাধিক স্বপ্নের মেলা।

কে ভেবেছিল?—কভু কি হয়েছিল ভাবা
প্রতিটা মুহূর্তকে একটু একটু করে
কাঠগোলাপের মালায় বাঁধা সুতোতে বেঁধে
শেষ ফুলের গোড়ায়
যত্নে গড়া মায়ার গিঁটখানা খুলে
প্রতিটি পাপড়ি যাবে ঝড়ে?
পরে রইবে, পরিত্যক্ত এক শহরের
ভগ্ন দালানের স্যাঁতসেঁতে দেয়ালের
শ্যাওলা পড়া প্রতিটি ফাটলের ভাঁজে।

তবে জেনে নাও নাজু, হয়নি ভাবা এভাবে
হঠাৎ কালো ছায়া এসে পথ আঁটকে দাঁড়াবে।
থেমে গিয়ে গন্তব্য বদলে
দুজন হাঁটবো দু'পথে।

হাজারবার ভালোবাসি ভালোবাসি বলেও
যেই মনে
ভালোবাসি শোনার ভালোবাসি বলার
সাধ ফুরাবার প্রহর
আসার সাধ্য পায়নি কভু,
সেই মন দুটি কীভাবে
এক কালবৈশাখী ঝড়ের
দমকা হাওয়ার প্রলয়ে
নিলো পথ বদলে।

ভাবিনি আমি,
বিশ্বাস করে দেখ একবার,
একদিন হারাবে ভালোবাসা দুজনার!
কল্পনাতেও সাধ্য হয়নি, পারিনি ভাববার।