বেশ কিছুদিন ধ'রেই ভাবছি একটা কবিতা লিখবো
ঠিক কি বিষয়ে লিখবো তা জানি না
সম্ভাবত আমার পূর্বকার কবিরা সব বিষয়েই লিখে গেছেন,
একদিন বৃষ্টি নিয়ে লিখতে চাইলাম
স্টিশনের ঝোড়ো বৃষ্টি নিয়ে...
দেখি ওই কোনাটায় ছেড়া পাঞ্জাবী পরে, এক যুবক দাঁড়িয়ে
খুব মনযোগ দিয়ে দু-এক টাকার সিগারেট টানছে,
কাছে গেলাম; বললাম এভাবে চলতে থাকলে তো শেষ হয়ে যাবেন,
সে হেসে বললো, "আমি বুঝে গেছি আমাকে দিয়ে আর কিছুই হবেনা"
মাঝেমাঝে মনে হয় মহাকাশ নিয়ে লিখি কিন্তু-
ওদিকে নক্ষত্রগগুলোকে নিজের করে নিয়েছেন।
ধানক্ষেত-শিশির-শালিকের এখন জীবনানন্দের ব্যক্তিগত সম্পত্তি
ভাবলাম, রাস্তা-জীবন-ভবঘুরেদের নিয়ে লিখি
রে্যবো যে ওদের সাথেই দিনকাটায়, দু পয়সায় পাওরুটি কেনে
ওদের সাথেই ভাগ করে
একবার মনে হলো বারে বসা ঘোরের মাতাল কে নিয়ে লিখি
বদল্যার টলতে টলতে এসে বললো; একটু পেছনে ঘুরে দেখ
সামনের সুর্যটা আমিই উঠিয়েছিলাম।
ধানের বোঝা মাথায় চাপিয়ে হাটতে হাটতে শ্রাবণ কে চলে যেতে দেখলো!
চারিপাশে অসংখ্য পানি শুধু খাওয়ার জন্য কোথাও এক ফোঁটা পানি নেই
কে বলেছে সেটা আমার মুলবক্তব্য নয়
শুধু লেখার মত কোন বিষয় পাচ্ছিনা; একটা কবিতা লেখার মত।
আমি একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করছি
বহুদিন ধ'রেই কবিতাটি লেখার চেষ্টা করছি কিন্তু-
ঠিক কি নিয়ে লিখবো তা জানিনা।
তোমাকে বললাম তুমি আমার কবিতার উপকরণ হও
আমি তোমার চোখের-নাকের-চুলের খুব যত্ন নেবো
টুকটুকে একটা টিপের ভীষণ যত্ন নেবো
তোমার ঠোঁট কান পায়ের নখের
তোমার চিবুক শুভ্র বরফের মত সাদা স্তন জোড়ার
মরু উপত্যকার মত কোমর ঝিনুকের মত চিরসবুজ জঙ্ঘার
খুব নিরাপদে রাখবো; খুব গোপনে রাখবো, খুব যত্ন নেবো।
তোমাকে বললাম, আমার কবিতার উপকরণ হও;
তুমি রাজী হলে না; শুনেছি ওরা নাকি অনেক আগেই তোমার দখল নিয়েছে,
কোরবানির হাটের মত তোমার দরদাম বাড়িয়ে চলেছে ;
বলেছিলাম কবিতার উপকরণ হও।
তুমি হ'লে না! এখন আর কবিতা লিখতে পারি না
এখন আমার আর কবিতা আসে না,
তোমাকে ছাড়া আর কোন বিষয় যে ছিলোনা আমার
এখন কবিতা লেখার জন্য আর কোন বিষয় আর অবশিষ্ট নেই।