পুবে আকাশ ছেয়ে গেছে কালো মেঘের আভাস,
এইখানে বসে থাক কোথায় চলে যাস!
মাগো দ্বারা তুই আজকে আমি মুক্ত মনে ঘুরি,
অন্ত ছোঁয়া আজি লাগে পথে ঘাটে হৃদয়ে জুড়ে।


বজ্রপাত হবে জেনে আমি ছুটি তার গহিনে,
সে যে আসুক নাহ ভেবে মোর মনে জানে!
গাইবো তেজী সুরের মূর্ছনা ভাটিয়ালি গানে,
পাল তোলা ডিঙি নৌকা সরোবরে টানছে উজানে।


টিপ টিপ বৃষ্টি ঝড়ে বইছে হাওয়া এলোমেলো,
আজি কেন যে আমার লাগে অনেক ভালো!
কখনো কলা পাতা ছিঁড়ে মাথা গো জাই থাই,
পদ্ম পাতার তুলে আবার পানিতে ভাসাই।
রাখাল বালক ডাকিতেছে আমায় আয় বাড়ি আয়,
নাহ শুনে ও দুফলা ঘাসে ভেসেছে শামুক কুড়ায়!


মাস্টার ছাতা তলে চলে আসে একে বেঁকে,
ছাত্রী যে বৃষ্টিতে ভিজে মাস্টার তা দেখে!
শোন মা, এভাবে ভিজিস নে ঠাণ্ডা লেগে যাবে,
আয় চল,আজ তোর মার অনেক বকুনি খাবে।
মাস্টার হোঁচট খেয়ে পরে খিলখিল করে হাসে,
আরে শিক্ষক মশাই কি হলো বলে ছুটে আসে!


সবই চলে গেলো রয়ে গেল অন্ধকারে বিনতি,
বারবার কেনো থামে আকাশ পানে দেখি অনুভূতি!
এক পা আগুতে শামুক কাটে কত যন্ত্রনা ব্যথা,
এই বর্ষা স্নাত আমার স্মরণীয় দিন বলবো মনের কথা।


লেখক- কেয়া আক্তার