ভালো থাকার আহ্বান যেন এক নরম, অথচ বিষাক্ত ও ভয়ংকর জটিলতা,
ভালো থাকা মানে কি নিজের ছায়াকে না-চেনা?
বুকের ভেতর এক নিঃশব্দ ধ্বংস চলে, কে জানে কাকে বলে প্রলয়!
যেখানে হাহাকারই শান্তি, এ যেন নরম ভাঙা কাঁচের ক্যানভাসে গা এলিয়ে দেওয়া।
অস্তিত্ব এক ভারী শব্দের বুনন, ঝুলে থাকে গলায় রূপালি ফাঁসের মতো।
প্রতিদিনই নিজেকে বলি: আমি মরিনি এখনো।
কিন্তু সুখ যেন কাঁচের খাঁচার ভেতরে হাসার অভিনয়,
যেখানে দীর্ঘশ্বাসও হয়ে যায় ঋণপত্র।
আমার ঘর এখন স্বপ্নের চেয়েও বেশি অচেনা,
দেয়ালে লটকে থাকে সময়ের ভাঙা আয়না।
আমি তাকাই, অথচ দেখি না কোনও অবয়ব,
গলে যাওয়া ঘড়ি বলে ওঠে, “এটাই তুমি।”
সূর্যাস্ত যে পথে হেঁটে যায়, আমি সেখানে থাকি না।
আলো এসে থামে না আর আমার জানালা ঘেঁষে।
রাত্রি এখনো নামে, তবে সে ঘুম আনে না।
নিদ্রাও জানে, সবকিছুই প্রশ্নবিদ্ধ।
অসুখই যখন মায়া,
অনুভূতিরা হোক ক্ষণিকের ছায়া।
আমি খুঁজি এক সত্য, যা দুঃস্বপ্নের মতোই খাঁটি,
যেখানে সময়ই একমাত্র অসময়।