চুলগুলো এলোমেলো ক্লান্তির ছাপ  
অফিস থেকে ঘরে ফেরা যানজটের চাপ।
প্রতিদিন যাওয়া আসা ভিড় ঠেলে ঠুলে
জীবনের কঠোরতায় সব গেছে ভুলে।
বাস্তবতায় হিমশিম স্বপ্ন নাই চোখে
তবুও বলে ভালো আছি হাসি নিয়ে মুখে।
বাবা তার শয্যাশায়ী মায়ের চোখে জল
মেয়েটার আয় ছাড়া সংসার অচল।
ছোট ভাই আদরের বোঝেনা সে কিছু
কত শত আবদারে ঘোরে পিছু পিছু।
অফিসের বস আর সহকর্মী যত
রক্ষিতা বানানোর ফন্দি করে কত।
অবিরত পথে ঘাটে চলে উপদ্রপ
পাড়া প্রতিবেশীদের শত বিদ্রপ।
পঁচিশ গেল ত্রিশ গেল পয়ত্রিশ চলে
এরই মাঝে বাবাও তার গেছে পরকালে।
ছোট ভাইও ভালই আছে চাকরিটাও বেশ
বউয়ের মন রাখতে হবে, তাই সম্পর্কটা শেষ।
মা তার দিবানিশি কেদে হয় অসার
আইবুড়ি মেয়ে ঘরে কি হবে তার।
নিত্যদিন যাচ্ছে কেটে সয়ে গেছে সব
জীবন গেল যুদ্ধ করে নেই মনে ক্ষোভ।
খেটে খাওয়া মেয়েটি চায়নি কারো কৃপা
সাহসী মেয়েটির নাম হলো রুপা।