সেই দিনটা ভীষণ মনে পড়ছে
সাদা শাড়ীতে তুমি যেন এক মোহময়ী অপ্সরা
আমার কাঁধে মাথা রেখে নির্ভরতার তন্দ্রামাখা প্রেমাস্পর্শ
তোমার শরীরের ভাজগুলো নির্লজ্জের মত আমায় খুব কাছে ডাকছে।


তোমার মৌন সম্মতি আমাকে করলো বেপরোয়া
আহাসান মঞ্জিল জাদুঘরের হালকা আলোয় তোমার অকারন আলিঙ্গন
আমার পুরুষত্বকে যেন কটাক্ষ করতে লাগলো প্রতিমুহুর্তে
পরিশেষে এক ক্ষেপা মানব রুপে এক অশান্ত মানবীর কাছে যাওয়া।


আমি জানিনা সেদিন আমি কি চেয়েছিলাম
তোমাকে ভোগ করতে নাকি তোমার অশান্ত আত্নাকে শান্ত করতে
সেই ভাবনাটা ছেপে দিয়েছিল তোমার পরম শান্তি মাখা প্রাপ্তি সুখের হাসি
সন্ধ্যেবেলা ফিরতী পথে তোমার প্রেমময় শান্ত মুখোচ্ছবি অবাক চোখে দেখছিলাম।


অত:পর কতবার কতকিছু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি ও ঘটন-অঘটন
নতুন পুরাতন কতশত অভিঞ্জতা প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করে
কিন্তু সেই দিনের নির্লজ্জতা জীবনের প্রাপ্তির চরম সুখ হয়ে আজীবন বেঁচে রবে এই মনে
আজ তাই আহাসান মঞ্জিল যেন পরম সুখের নিদর্শন।