একটা শবদেহ নিয়ে দাড়িয়ে আছে একটা ট্যাঙ্ক
পেছনে - সামনে, ডানে - বামে সুসজ্জিত সৈন্যদল।
অভ্যুত্থানের নগরীতে দিক্বিদিক ছুটে বেড়াচ্ছে মানুষ
জনস্রোত হতে প্রকম্পিত হয়ে ভেসে আসছে একটা ধ্বনি
চাইনা স্বাধীনতা , চাইনা মাটির অধিকার ; শুধু চাই
বাঁচার অধিকার ।
বেয়োনেটের তীব্র খোচায় ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে সেই
শবদেহ।
শবদেহের লাল রক্তে আবারো রঞ্জিত হচ্ছে সবুজ
পতাকা
সবুজ ঘাসের উপর বসানো হল কালো বাঁশের খুঁটি,
রক্তের রং ধীরে - ধীরে পচন ধরতেছে
পতাকার রং বদলে গিয়ে কালো হয়ে যাচ্ছে।
শোকের নগরীতে কালো ট্যাঙ্ক এ শকুনদের নগ্ননৃত্য!
শকুনের কালো থাবায় ছিন্নবিচ্ছিন্ন আমার সবুজ স্বদেশ।
আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে একচোখা চিল
লাল নীল ফোয়ারা হাতে শকুনের নগরীতে একচোখা
চিলদের উৎসব।
মুখোশের আড়ালে মুখোশ ভেতরে অমানুষ !
কালো প্যান্ট এর পকেট হতে বেরিয়ে আসে রেশমী
রুমাল।
মুখোশের আড়ালে ঘুরে বেড়ায় মীরজাফরের দল।
অন্নহীন শিশু আমায় দেখলে তেড়ে আসে
ক্ষীণ গলায় চিৎকার দিয়ে বলে,
চাইনা স্বাধীনতা, চাইনা মাটির অধিকার ; শুধু চাই
বাঁচার অধিকার।
গর্তে লুকনো বিষধর সাপ,
একচোখা চিলের বাসায় লুকনো শকুন
মুখোশের আড়ালে তারাই হয় আমার বঙ্গদেশের
মানচিত্রের রক্ষক।
মুছে দিতে চায় তারা মানচিত্র থেকে মহাবীরদের
ইতিহাস,
কেড়ে নিতে চায় তারা পল্লিমায়ের বুক থেকে অবুঝ
শিশুকে
তুলে দিতে চায় তারা মানচিত্রের অধিকার একচোখা
চিলদের কাছে।
অভ্যুত্থানহীন এ নগরীতে বসে ভাবি আমি,
আবারো রক্তবাণ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বো তাদের উপর।
জানি একচোখা চিল আর শকুন মিলে বসাবে আমার উপর
মরণকামড়,
মৃত্যু হবে আমার সাহসী এক সিংহের মতন ;
কাপুরুষ কোন বিড়ালের মতন নয়।