হে প্রভু,
এ হৃদয় ভেঙ্গে
চুরমার করে দাও,
শোক সহিবার শক্তি যেটুকু
আছে তাহা কেড়ে নাও।
এ বুকে শোকের পাথর চেপেছে
কত শোক ধরে রাখি,
চিত্তটা ভেঙ্গে এ বুকে এবার
পাষাণের ছবি আঁকি।
মমতার নদী মরুভূমি হয়ে
খাঁ খাঁ করে চারিদিকে,
কত আশা নিয়ে কত ছবি আঁকি
সবিই তার আজি ফিকে।
চারদিকে শুধু অরাজকতাই দেখি,
নীতিহীনতাকে দেখে আর কত
চোখ বুজে বল থাকি?
সমাজের নীতি বর্জিত হয়ে
অবক্ষয় আজ রীতি,
মূল্যবোধ আর সৌজন্যতা
আজকে শুধুই স্মৃতি।
সমাজের এই অপ কলকাটি
যাদের ইশারায় নড়ে,
কত ধিক্কারে ঘৃণা জানাব
ঐ সমাজপতির পরে?
হে মহাপ্রজ্ঞা,
বিবেক-বুদ্ধি নির্মূল কর আজি,
বোকার মতই সয়ে যেতে সবি
আমরা সকলি রাজি।
কত অপঘাত, কত আঘাত
ওরা হানিতেছে তাই স্মরি,
এরা শুধু নয় আরও ঢের আছে
সমাজে-রাষ্ট্রে ছড়ি।
শিক্ষিত হয়েও মূর্খের মত
বর্বরও সম তত,
অসভ্য মোরা ততটা হয়েছি
সভ্য হয়েছি যত।
শিষ্টাচার আজ হার মানে ঐ
অশিষ্টদের কাছে,
প্রতিটি রন্দ্রে শিরার ছন্দে
অনাচার লেগে আছে।
ঐ অনাচারে কত যে স্বপ্ন
ভেঙ্গে যায় নিরবধি,
অসীমের পানে বয়ে চলে সেথা
শুধু বিরহের নদী।
যার স্বপ্নটা ভেঙ্গে যায়
সেই ভুক্তভোগীই জানে,
উদাসীনতায় পথহারা হয়ে
চায় আকাশের পানে।
মিনতি করিয়া প্রভুকেই বলি
চক্ষু খুলিয়া দেখ,
যার অদৃষ্টটা যতটুকু সহে
তাহা শুধু তুমি লেখ।