আর ক্ষমা নয়, ক্ষমা প্রার্থনা নয়
এবার শত্রু হটার পালা,
সমাজের ক্ষত তাড়াতে এবার
মমতার দ্বারে লাগিয়ে দিয়েছি তালা।
মিত্র রুপে শত্রু মিশেছে অশিষ্ট আজ;
শিষ্টদেরই দলে,
চোখের অশ্রু মাটিতে মিশেনি দস্যু হটাতে
দাউ দাউ করে অগ্নিশিখা জ্বলে।
চারদিকে আমি মানুষের মত হাত-পা-ওয়ালা
দেখছি যাদের চোখে,
অবয়বে এরা মানুষ তবুও পশ্বাধম এরা
মানুষের শুধু ছাপটা এঁকেছে মুখে।
রক্ষক ভেবে মুখোশের জাল উপড়ে দেখেছি
ভক্ষক সেজে রয়,
ভেবেছি যাহারে কল্যানরুপে আজ তারা গাহে
অকল্যানের জয়।
পশু-প্রবৃত্তি চলছে নিত্যি জানোয়ারও আছে
দানবের সম যত,
দেশদ্রোহী আছে, শুধু তাহা নহে ডালপালা
মেলে বিস্তার লভে তত।
নৈতিকতার বালাই তো নাই শিক্ষিতরাও
হচ্ছে হনুমান,
এদের কীর্তি দেখে মূর্খ শুধুই লজ্জিত নয়;
হাসছে অফুরান।
গলদভরা শিক্ষাটা আজ আপাতমানে
উচ্চ ফলনশীল,
কার্যত তা সারশূন্য; বিক্রেতা আর
ক্রেতার মাঝেই কেনা-বেচার বিল।
এই শিক্ষা লভেই উঁচু সিড়িটাও পাড়ি দিতে
আজ তাই এঁটেছে ছল,
যারা এদের করবে মানুষ তারাও দেখি
রাম ভেড়াদের দল।
নিগৃহীতের বাসনা যেন যাচ্ছে খুয়ে;
অশ্রু টলমল,
চক্র সদাই উঠছে গড়ে সমাজটাকে বিষিয়ে দিতে
খাচ্ছে আদা-জল।
সমাজের এই দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে;
আরে নহে ক্রন্দন,
করছে যারা কলুষিত এই মানব শিকল;
ছিড়িয়াছে বন্ধন।
প্রাণপনে এই জঞ্জাল যারা নির্মূল করে
কাঁপছে তারাই অনিষ্টদের ত্রাসে,
চোখের অশ্রু শুকিয়েছে-আর নীরবতা কেন
হতাশার নিশ্বাসে ?
চেয়ে দেখ আজ আলোর পিঠেই পরছে যেন
দুষ্কৃতিদের হানা,
হাহাকার নয়; ভেঙ্গে ফেল ঐ অসুর-দুর্গ;
আঁধারের আস্তানা।


১১-১০-১৯ খ্রিস্টাব্দ।