আজ ব্যস্ত এ দিনগুলি
যত যায় বেড়ে,
ঐ গাঢ় নীল স্মৃতিগুলো
তত মনে পরে।
ছিল সেই সময়েতে
কত হুড়োহুড়ি,
লোভনীয় ফল কত
করিতাম চুরি।
খোলা মাঠে তরমুজ
আনারস যত,
রসালো এ ফলগুলো
খেয়েছি যে কত।
সন্ধা হলে খেঁক-শিয়ালের
হুক্কোহুয়া তানে,
ছুটিতাম পিছু তার
বহুদূর পানে।
চৈত্রের দাবদাহে
তপ্ত শরীরে,
জুড়াতাম তনুখানা
গ্রামের পুকুরে।
সাঁতার কেটেছি সেথা
একুলে-ওকুলে,
বাবা-মা খুঁজিত মোরে
কোথা গেল ছেলে।
খুঁজিতে খুঁজিতে সেথা
পেয়ে গেলে মোরে,
প্রহারও জুটিতো কিছু
আলতো-সজোরে।
পেটপুরে খেয়ে যত
বাবার পিটুনি,
হজমও করেছি তত
মায়ের বকুনি।
হৈ হুল্লোরে কত
ছুটিতাম মোরা,
গাঁয়েরই মেঠো পথ
হইতো যে সারা।
ছেলে-মেয়ে মিলে কত
বৌ-ছি যে খেলা,
গোল্লাছুট খেলিতাম
গোধূলির বেলা।
খেলিতে খেলিতে কত
রাত হয়ে যেত,
হিসেব-নিকেশ তার
রাখি নাই অত।
উদাসী সে ক্ষণগুলো
আজও ভাসে মনে,
ইচ্ছে জাগে ফিরে যাই
স্মৃতির ঐ সাম্পানে।
সোনালী সে দিনগুলো
যত মনে পরে,
একান্তে ভাবি আজি
পাবো কি তা ফিরে?
জানি ফিরে আসবেনা
সুখের ঐ মেলা,
আজও মনে তাড়া করে
স্মৃতির সে ভেলা।
আজ কত কিছু আছে
তবু নেই যেন কিছু,
ব্যথাতুর হয়ে আমি
ছুটি তার পিছু।