কেন তব এ দশা, কাটাইছো বিজনে?
হাসিবার ছলে আসাঢ়ে, রহিলে ভুবনে
ধুম্রজালের ধন লইতে; পাইলে যাহারে,
বিষাদে বিলাজে বিক্ষণে বিকাশে হঠিয়াছে তোমারে ।
বৃথা স্বপনে মগ্ন থাকিয়া, জ্বালিয়াছ যাহার বুক
মর্ত্যের বুকে কুঠার রণিতে, লভিছ কি সুখ?
কেন তব অক্ষিশূল? যাদের করেছ আপন সুর,
সুখ? সে তো কুয়াশা, রয়েছে দেবপুর ।


চিতায় অনলদগ্ধ; তব অম্বরখানি
পুরছে ক্ষণদায়; হীম জলদ ঝরিছে, তব ললাটে ।
কেটেছে তিমির, জাগিছে স্বপন যামিনী ।
দেখিয়াছ সবি, শুধিয়াছ তব অবনী মহাচিত্তে
দেখ, ঐ যে হেম ভানুর অংশু তব অলিকে
তমঃ শেষে, প্রভা এসে, রাঙালো মহীকে ।