এই মেয়ে থাকিস কোথায় ?
নাম কি যেন?
কি জানি গো!
একটা থাকলে বলেই দিতাম।
কার যেন এক পাপের ফসল
এখন বুঝি টাকায় উসল।
পলিথিনের পোষাক গায়ে
ডাষ্টবিনে ফেলে রাখে
খাবার খোঁজা কুকুরগুলো
উঁকিঝুঁকি করলো শুরু,
আসলো কাছে রাত্রিওয়ালা
কুকুরগুলো দিল তাড়ি
যত্ন করে নিলো বাড়ি ।


নাম কি তোর বলতে পারিস  ?
নামতো আছে অনেক গুলি
শেয়াল কুকুর রাতের ফুলি
লতা পাতা ফুলের কলি,
কোনটা রেখে কোনটা বলি।
রাত্রিওয়ালার কুসুম কলি
পিছে ঘুরে কত্ত মালি
বয়ঃসন্ধি হলাম বলি।
যা হবার তাই হলো
রূপ আমায় ঠিকই খেল।


পাতানো সব দাদাগুলো
পাড়ার কাকা ধর্ম গুরু
কাছে ডাকে আদর কষে,
পেটে পিঠে নরম পাচায়
নানা ছুতোয় গা ঘষে।
বালির বাধ আর কয়দিন টেকে
নিত্য ঘষায় পাথর ধ্বসে
হঠাৎ একদিন ঘুর লো মাথা
খুল লো বুঝি জীবন খাতা!
নাম হলো কুমারিমাতা।


আসলো চলে গ্রামের মাথা
হর্তা-কর্তা সব বিধাতা
বিচার সালিশ সব হলো,
কলঙ্কিনী নাম দিয়ে
বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলো।
দিশেহারা ভবঘুরে
ইষ্টিশনের জীর্ণ ঘরে
জাপটে ধরে শেয়াল শকুনে,
হঠাৎ দেখি শুয়ে আছি
হাসপাতালের একটা কোণে।


অপত্য টার কি হলো রে ?
তার কপালও আমার মতো
দগ্ধ হলো মায়ের ঋণে
ঠাই হলো এক ডাষ্টবিনে।
কারো কাছে আছে হয়তো
এঁটো বাসি খাবার চেটে,
নয় তোবা সে সুখেই আছে
শেয়াল কুকুরের ছোট্ট পেটে।


তারপর তোর কি হলো রে?
কি আর হবে
যা ছিল এই কপালে,
গা ভাসালাম হাওয়ার তালে।
এ হাত ও হাত ঘুরিফিরি
শরীরটাকেই বানাই পুঁজি,
এমনি চলে কামাই-রুজি
রূপ যৌবনে জীবন খুঁজি।


অন্ধ সমাজ দিচ্ছে থাবা
মেয়ে-মানুষ মদ আর ইয়াবা,
বাঁচার জন্য এই জগতে
অবশেষে বারবনিতা।
অবাক লাগে ভীষণ রকম
যারা আমায় করলো জখম
ভদ্র বেশী আইন প্রণেতা,
ওরাই চালায় সমাজটারে
আঙ্গুল তোলে কয় পতিতা!