আমি যে তরুন কবি, ঊষার হাত ছানি দিয়ে
নিন্দুকের নরকে উন্মদ আমি, প্রলয়কারী ঘূর্ণি ঝরে
বায়ুর বেগের চুরমার ধ্বনি।
ভাঙ্গতে চাই সদা জাগ্রত সমাজের কলঙ্ক,
ঝঞ্ঝাল আছে যত নিপীড়িত, মর্মহত, নির্যাতিত,
কান্না রক্ত অশ্রু মিশে যায় ধূলি কনায়
দেখেছি আপন চক্ষু মিলিয়া করবার কিছু নাই?
আমি ধংসকারী,
নই বিদ্রোহী, হাজার তরুনের বাতি ঘড়,
নিপীড়িত মানুষের হাড্ডি ভাঙ্গার আওয়াজ
শুনেছি বহু বার,
দেখিনি তব কাজী নজরুলের বিদ্রোহের হুংকার,
পেরিয়েছি সুকান্তের আঠারো বছর বয়স
কয়েক বছর হয়েছে পার।
আমি মাথা নোয়াবার নই,
আমি বীর বিশ্ব করতে চাই স্থির,
বিশ্ব বুকে বাংলায় গড়তে চাই
অনাবিল সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিশীল।
আমি বঙ্গসাগরে 'সমুদ্র জয়ের' কল-কল ধ্বনি,
সিতাকুন্ডু গহিনে লুকিয়ে থাকা
মায়ের নিঃশব্দ কথার বুলি,
বুলেটের তিব্র গতির স্থান কেড়ে চলি,
চিলের ন্যায় দূতগামী বা বি বা রণ তরী।
তরণী আমার ভাঙ্গবে কে বলো?
আমি যে একাবিংশ শতাব্দীর তরুন কলমবীর,
আমি পাড়ি, মৃত্যুজয়ী তরুন কবি,
নই ধসে পরা উল্কার প্রতিচ্ছবি,
নয়তো চায়না মেশিনের পার্স-পাতি,
আমি কৃষকের ফলার নিচে উরর্বর মাটি,
দরিদ্র ঘড়ে জন্ম নেওয়া বাংলার বাতি,
পথ ভোলা পথিকের পথনির্দেশকারী,
আমি শীতার্থ পাগলের বস্ত্র নাহি কারী!
আমি হতে পারি উন্মদ তরুন কবি,
সৃষ্টিকর্তার নি'হাতে সৃষ্ট মানবতার বুলি,
হইয়াছি পার বহু বার ভৈরবো নদীর এপার-ওপার
দেখিয়াছি মোর পিতার হার-কাপুনি তোলা জ্বর,
আমি নিঃস্ব, বেকারত্বের কাপনে মোরা জীবন্ত লাশ
তবুও বার বার বরংবার লিখি তরুনেত্বের জয়গান।