তোমাকে দেখিনি কভু—
তবুও মনে হয়, কোনো এক কুয়াশাঘেরা সকালে
শালবনের ফাঁকে তুমি হেঁটে গেলে নরম পায়ের শব্দে—
হয়তো একটি শালিক তাকিয়েছিলো বিস্ময়ে—
আর আমিও ছিলাম পাশে, শুধু তোমার অগোচরে।
কোনো এক অচেনা ট্রামের ছায়ায়,
হয়তো তুমি বসেছিলে নীল রোদে—
আর আমি, জানলার ধারে বসে,
শুধু একখণ্ড গন্ধ পেয়েছিলাম—
তোমার চুলের কি, না কি কোন মৃত পলাশের?
আকাশে যেন আজও রয়ে গেছে তোমার হাঁটার রেখা—
দেখি, যখন সন্ধ্যা নামে শহরের মাথায় ধূসর ধোঁয়া হয়ে।
একদিন তুমি হয়তো চেয়ে দেখোনি—
তবুও আমি প্রতিদিন দেখি
তোমার না-দেখা চোখে, তোমার না-করা ভালোবাসায়।
কত জন্ম যেন গেছে!
তার মাঝে থেকো তুমি—মৃদু, নিঃশব্দ—
একটি ধানক্ষেতের জলের মতো—
ছুঁই না, তবুও প্রতিফলিত হয়ে ওঠো
এই বিষণ্ন হৃদয়ের স্থির জলরাশিতে।
তোমাকে দেখিনি কভু—
তবুও তুমি আছো,
তোমার অনুপস্থিতির মধ্যেই আমি আজও বেঁচে আছি।