জানা নেই ঠিকানা ও পরিচয় আপন,                                                                                      
এ ভূবনে আসা এক যাযাবর মুসাফির এমন,
কোথা হতে কেন, কেমনে কবে হলো আগমন, কে আমি ॥
কেন হলাম না এমন,
আমার সারা দেহ সপ্ত রিপু সচেতন,
সম নাহি যার কেহ আর ছিল বড় বেশী প্রয়োজন,
তুমি যেমন চাও আমায় দিয়ে তাই করাও আমি তা করিব পালন,
একই কথা কওয়া ঐ কাজ মাথায় লওয়া অনুসারি হওয়া ও করা তা অনূকরণ,
সাধ বাসনা সাধনা ও পণ, আকাশের বারতা ও বাণী যেটুকু জানি জনে জনে করা বিতরণ,
যা চাহিল মম জাগ্রত মন কেন ঠিক তেমন হলেম না এই আমি, ভোগের নেশায় হলো রোগ পাগলামি ॥
তুচ্ছ নগন্য অধম,
সব কিছু যার অতী কমকম,
দীনতা হয়ে রয় স্বপ্ন আশার চীর যম,
সাধ্য আর সাধ বাসনার মতি ও পথ আলাদা অসম,
তবে এই কি নিয়তির নিয়ম, সবখানে আমি মানিব হার,
কোথা সামান্য ছাড়, কই মোর উপহার, অবুঝ আকূল আকূতি আমার,
যদিও করিতে পারেনা তবু সে কেন আশা  ছাড়েনা, দেখেও রুদ্ধ দুয়ার,
কভূ রাগ করে আসেনা ফিরে বারবার চায় আর, হাত পেতে হয়ে রয় তার করুনা কামী ॥
অতী সাধারন,
মানূষ নামের মানূষ একজন,
পারেনা যে কিছুই করিতে আছে শুধু এমন একটা মন,
নেই জানা, পথ খুঁজে পাইনা কেমনে কবে তা হবে সাধন,
ভাবনা পেরেসানি তাড়না শত প্রয়োজন অনটন ক্ষুদ্র যার সীমানা,  
তুমি কি পারনা, তবে কেন মোরে ছাড়না, বন্দি হয়ে মন দীনতার বেদনা,
কষ্ট লয়ে যেন তার সংগী হয়ে আজীবন তার মাঝে বিচড়ন, কেন মোর অপরাধ ভূল হয়না র্মাজনা, হে অর্ন্তযামী ॥
যেন এক অপর্দাথ,
এ যূগের এ সমাজে সব কথায় কাজে র্ব্যাথ,
যেন তার কেউ নেই আর নাই আপন কোন র্স্বাথ,
তার ঞ্জানে জানা নেই যেন আছে কোন র্পাথ,
নেই এমন লম্বা হাত,
হামেশা করে রাতকে দিন ও দিনকে রাত,
কালো টাকার পাহাড় নিমেষে করে বাজিমাত,
সাধ্য ছিলনা যার কভূ তার বধূঁয়ারে দিতে কোন সোনাদানার উপহার, ছিলেম আমি এমনই এক অযোগ্য স্বামী ॥
তবুতো সে কজনের পিতা,
কেউ নহে তার বন্ধু ভাই কিবা মরমিতা,  
কারো সংগে যদিও তার নেই তেমন কোন কূটূম্বিতা,
যদিও জুটাতে পারেনা বড় ইলিশ নতূন কাপড় কেক বেলুন ও লাল ফিতা,
ঘরে ও বাহিরে আমি যেন আধমরা পর,
কোথাও নেই ভক্তি বিনয় কিবা আদর সোহাগ ও সমাদর,
নেই বড় বড় স্বপ্ন আশা,
দিতে জানিনা তাই কেমনে পাব ভালবাসা,
এই আমি, যেন হয়ে আছি বড় ই কোনঠাসা ও একা আর অতী নগন্য কমদামী ॥
বিদ্যা ও ধন,
জীবনের অংশ, আছে তার প্রয়োজন,
তাই বলে তা বেশী, কম কিবা না হলে তা ও এক যাতন পীড়ন ও জ্বালাতন,                                            
ঝকঝকে চকচকে ক্ষমতার আসন,
এক দিকে ঢের পূরো এক সের ভোগ বিনোদন,
কোথাও আবার শুধু অনটন আর দুঃসহ টানাপোড়ন,
এই আসা আর মরনের নামে চলে যাওয়া সে কি তবে অনাহুত অকারন,
তূল্য কি তার মূল্য কত জানা আছে কার দুদিনের এ জীবন,
হয় জানা, কেউ নয় কানা মিলে দরশন পেলে কেউ তৃতীয় নয়ন,  
অজানা সত্য সমন, কে ফিরাবে কে করিবে তা লংঘন,
এলে হঠাৎ কবে আবার চলে যেতে হবে, সব ছেড়ে সব ফেলে চীরতরে অচেনা দেশে ভ্রমন,
সামনে আছে একদিন,
লয়ে মাথাভারী দায়দেনা ঋন,
সবাই যখন হবে পর আর সবকিছু বিলীন,
কেজানে কোন দোষে শত ভূল আর অপরাধে রাজ রোশে রাজার হাতে বন্দি আমি এক অপরাধী আসামী ॥
কি নহে, কি সমিচিন,
রাজ ফরমান হয়নি পালন হয়নি অবসান, কি কাজ এখনও বাকী তাই আঁখি ও বদন মলিন,
পরের ধনে পোদ্দারি, বলে আমার আমার কিছুই আসলে নাই যার,
কেমনে করে বাহাদুরি, আপন প্রানটা ও যার দাদনের মহাজনের দেওয়া ধার দান কিবা উপহার,
এ ভবের যত নকল রাজা মহাজন,
সে নহে মিথ্যে ফাঁকি সবারই নাকি হবে মরন,
দায়দেনার হিসাব হবে পাওনা বুঝে লবে যে করেছে ধনজন,
প্রান আর এ জীবন দান, কোন অভিলাষে এত ভালবেসে মানূষ সৃজন,
চুক্তি আর ওয়াদার কতটুকু কি হয়েছে তার পূরণ কিবা পালন ও দায় সমাপন,
হবে যাচাই বাছাই, কোন ভূল খূত নাই, খাতা দেখে ওজন করে হবে নিরুপন, আপন কর্ম্মে কে কি করেছে র্অজন,  
রোজ হাশরে শেষ বিচারে হবে সবাই সমান আর,
পাবে নিরিখে তার নায্য সঠিক নিরপেক্ষতার যে যার শাস্তি পূরস্কার,  
হিসাবের পাওনা উচিৎ মূল্য দাম,
দুনিয়ার যত র্মূখ পন্ডিত র্ধূত বোঁকা ধনী গরীব বাদশা নফর গোলাম,
দুনিয়ার দামে নয়, হবে কামে পরিচয়, দামী বেদামী কিবা নামী বেনামী ॥
জীবনের প্রতি দম প্রতিটি ক্ষন,
সাধকের সাধনা বৃথা যাবেনা হবেই সাধন,
নহে মূল্য হীন ওরে সম্বল র্অজন আহরন অমূল্য রতন,
চলনে বলনে ক্ষুদ্র কাজে, সামান্য দান তুচ্ছ ত্যাগ ও বির্সজন,
চিন্তায় মন ও মননে বিশ্বাসে ভয়ে লাজে, হবে মূল্যায়ন, হবে মহান হলে প্রসন্ন মন,
ধনী গরীব কিবা উঁচূ নিচূ জাত,
মোটা চাল আর চিনিগুড়া চালের ভাত,
বিশাল বড় তার ক্ষমতা আর অসীম দানের অদৃশ্য হাত,
তবু কেনরে নজরে পড়ে কারো হাতে কিছু নেই যেন একেবারে শূন্য তাদের পাত,
কারো গাল বেয়ে পড়ে যায়, কেউ দুহাতে টাকা উড়ায়, কারো ঘূম আসেনা ক্ষুধায়, শীতে কষ্ট পায় সারা রাত,
ভাবিলে কি তফাৎ, কেন এত হারজিতের লড়াই, মজারখেলা খেলছে সবাই, জনেজনে প্রকাশে গোপনে দন্দ ও সংঘাত,
তার কি কারন কি ভেদ,
গোলামের সনে প্রভূর কেন এত ক্ষেদ,
ভালবাসার বন্ধন টুটে বুঝিবা বিরাগ জুটে যেথা ঘটেছে বিচ্ছেদ,
দেখে বিশাল লাভক্ষতির ঐ বেঁচাকেনার হাট,
কত অন্ধ অঁচল, কেউ খেলাপী দেউলিয়া হারিয়ে সকল, ক্রেতাবিক্রেতার দোকানপাট,
কে আসল কে নকল বুঝা ভার, মন্দ ভাল টাউট বাটপার, সবার ইতো রঙ মাখানো সাজানো পসার,
কেউ একা আবার কেউবা বেঁধেছে দল, ঐ পাথার যেন জল অথই অতল, ভাবনায় মাথাটা আমার যায় ঘামী ॥