আমি আর আমি, আর আমার আমার ॥
আছে এমন কত জন,
অনূভবে চেতনায় শুধু সারাক্ষন,
পরম সুখভালে টাকার টালে বিভোর সম্মোহন,
বেশী ধন তবু ছোট মন, কি কারন হয়ত বুঝি নাই তৃতীয় নয়ন,
বলেই কানা এ যপ সাধনা মূল্যহীন, করে অনাহুত বোঝাভারী ঋন, এক আশাহীন নেশাময় তপ অলীক অসার ॥
দুদিনের এ জীবন,
তারচেয়ে বেশী নয় যেন কিছুক্ষন,
শুনে হাসে কয়, দমের মালিক মহারাজা মহাজন,
কিসের এত বাহাদুরী বড়াই,
এক ভিজামাটির র্গতে হবে সোনার ঐ দেহটার ঠাই,
আবু হকে বলে আসলে, এই মানূষতো সেই, কেউ নেই আর কিছু নেই যার ॥
বদ্ধ পাগল,
হদ্দ বোঁকার দল,
কারো বিদ্যা কারো র্অথ কারোবা চেয়ার কিবা বাহুটার বল,
যার, যদিও করে আমার আমার, কিছু নাই তার সম্বল আর করুনা ছাড়া ঐ বিধাতার ॥
আমার আর আমি,
সবকিছু ভাল আর সবচেয়ে দামী,
কে জানেনা পরিচয়,
আমারে সবে কর দিতে হয়,
কেউ টাকায়, কেউ জড়সড় হয়ে দাড়িয়ে রয়,
কিজানি কখন কি ঘটে কি রটে, সদা এই হিসাব করিতে হয়,
সেইতো ভাল, যদি উঠিতে বসিতে চলিতে বলিতে সবে করে ভয়,
বসতে দেইনা, বেশী কথা কইনা, যদিরে আরও কিছু চাহিতে তৎপর হয়,
কখন নাজানি, জোড় করে ধরে নিয়ে যায় টানি, সবকিছু করে দেয় ছাড়খাড় ॥
মিয়ার বেটা,
আমি তার জেঠা,
অত্র এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান,
শত শত লোক এসে দাড়িয়ে থাকে করে প্যানপ্যান ঘ্যানঘ্যান,
আমার ছোট ভাই প্রথম সারির ঠিকাদার,
উপজেলার সবচে বড় ও সুন্দর বাড়ীটা আমার,
কি হয়েছে তাতে, কি করিবে জাতে, চাই দুধভাতে, নাহয় আমার বাবার দাদা ছিল গ্রামের চৌকিদার ॥
কি লাভ তাতে কিইবা ক্ষতি,
নাহলে কপালে আছে নিদান ও র্দূগতি,
হবে পোয়া বারো যদি হয় কারো সময় ও সুমতি তবে,
হিসাব করিয়া দেখিও সবে, কেননা রাজারে তার হিসাব দিতেই হবে,
রাজার দাদন আর যত সুদাসলে তার দেনাপানার, তবে কি উপায় হবে একটু না পেলে তার করুনার ছাড় ॥
কেমনে কেটেছে জীবন,
কোন পথে ধন করেছ উপার্জন,
আর কি কাজে করেছ ব্যায় তব ঐ ধন,
করেছ কবে কোন দান,
অসহায় মানূষের মংগল ও কল্যান,
ছবি তোলা আছে, আমার কাছে সব তার স্বাক্ষী প্রমান, তুচ্ছ ক্ষুদ্র মহান কার কোন সেবা উপকার ॥
শোনে তাই হাসে,
গোলামেরে প্রভূ কত ভালবাসে,
বর্গা চাষীর ক্ষেতিফসল,
সেতো শুধুই তার ভোগদখল,
এই অধিকার অতী অল্প কয়দিনের,
স্বাধীনতার মাঝেও অদৃশ্য এক সীমানার ঘের,
পেলে মন হলে সাধন, আছে শ্রেষ্ঠ হবার সুযোগ ও দাম, বিধাতার গোলাম মানূষগন এমনই অধম ইজারাদার ॥
হতেই পারে বেঁচাকেনা,
মালিকে কয়, তবে তা নহে মালিকানা,
আছে কি সেই ধারনা, তাই যদি হবে কেন তবে তোমার ধন সাথে করে নিয়ে যেতে পারনা,
যাদেরে দিয়ে যাও, আজও হয়নি কি জানা তাও, মরার পরে আসিবে নজরে তারাযে তোমার কেউনা,
যে চলে ও চালায়, তবে নিবেনা তোমার গুনার কোন দায়, আপন দেহের ভিতরে থাকা ঐ জীবনখানা,
পালাতে করে ছটফট ধড়ফড়, আসলে সেও বড় পর, হয়না কভূ নহে কারো আপনার ॥
এ নহে জীবন,
বেশীবেশী ধন আর শুধু ভোগ বিনোদন,
তুমি আর তোমার বিবি বাচ্চাগন, আর কেউ নয়, এটাই নিজ পরিবার,
তবে কি তা,
আত্বকেন্দ্রিকতা,
নাকি স্বার্থপরতার হীনমন্যতা,
যদিও আছে তার বিশাল এক ধনের পাহাড়,
কেন সে দেখেনা ঘূরে, এত লম্বা হাত আর এত ধন যার,
এত স্বাধীনতা তবু কেন বন্দী অন্তপুরে, যেথা চারপাশ একাকার,
আর্তপীড়িতের চিৎকার, অনূভবে চেতনার, বিধাতার বিশাল জগত জুড়ে, কেন এই তার এত ক্ষুদ্র সংসার ॥
কার কত ঋন, সেদিন দেখাব আমি,
কথা মিথ্যে নয়, আসলে হয় কে কত দামী,
যখন পূরনো বালাম আর খতিয়ান,
বকেয়া অনাদায় সব হিসাব ধরে, পাল্লায় ওজন করে দেবো টান,
হবে গোপন ফাঁস, সব অজানা পাবে প্রকাশ, আছে কার কি কলংক কিবা দান অবদান,
নাই কোন কারচুপি, হবেনা পক্ষপাত,
পাবে বিনিময় প্রতিদান ভরে কাঙালের পাত কিবা হাত,
যা করেছ কৈশোর থেকে মরন, চলন বলন কর্ম্মে সারাটা জীবন, শুক্ষ্ম নিখূঁত নায্য সঠিক শাস্তি পূরস্কার ॥
আমিতো বেশ ভালই আছি,
মাটিতে যেন র্স্বগ সুখের কাছাকাছি,
তবে কার কি নাই,
আমি কেন দেখিতে শুনিতে যাই,
ভয় পাই, উটকো ঝামেলায় অযথা জড়াই,
কত মানূষ ইতো আছে করিতে চায় পরোপকার,
আমার কি দায় পড়েছে, গায়ে পড়ে নিতে যাব তার দায়ভার,
জগত জুড়ে এসো গড়ি এক পরিবার,
হিংসা ক্রোধ ধ্বংস নয় শুধু সৃজন ভালবাসা আর মানবতার,
এমন নহে কানে দেবো তুলো,
যেথা যা হবে হোক, যে যাই বলুক সমাজের মানূষগুলো,
তাতে আমার কি আসে যায় শুনিতে কারো চিৎকার কিবা হাহাকার ॥
বুঝি খোলেনি আজও তার তৃতীয় নয়ন,
মানবতা কোমায় আর মায়ামমতা লয়েছে স্বেচ্ছা নির্বাসন,
সহিবার কথা যার সে কেন সহেনা,
সাধ আছে সাধ্য নেই চুপ করে দেখে কিছু কহেনা,  
সাধ্য আছে যার, পাষান ভার বহিবার সে কেন তা তুলে লহেনা,
বললে কেন মোখ ফিরিয়ে লয়, এত কিসের ভয়, তবেকি শোনেনা নাকি বুঝেনা,  
ভোগেতে অধীর নাকি আসলে বধীর, কেন হেথা পৌছায় না মজলুমের আর্তনাদ আহাজারি ফরিয়াদ কান্না,
দেখি এ সমাজে এমনইতো হয় তার,
প্রয়োজন নেই তবু আছে এমন অঢেল ধন যার,
যাকে আমরা বলি টাকার কুমিড় কিবা ধনের পাহাড়,
একথা জানেনা তারা তাদেরই রয়েছে বেশী দায় আর,
যারা নিরুপায় অসহায় তাদের ঐ ধনে নিশ্চিতই রয়েছে তাদের অধিকার ॥
কি হবে হয়ে দুনিয়ার ধন কিবা ক্ষমতার রাজ,
যাবার আগে বাড়ী, যদি ধূয়েমুছে না ঘূচাতে পারি এই অপবাদ-আমি আত্ববাজ,
কে এলো কে এলোনা,
প্রাসাদবাসীরা কে কি পেলো আর কে পেলোনা,
কোনটা সান্তনা,আর কোনটা ধোকা ফাঁকি প্রতারনা,
বলে চক্ষু কানা, বুঝি তাই দেখাশেখা চেনাজানা হলোনা,
শিশির ভেজা দূর্বা ঘাষ,
সবুজ মাঠের ঢেউ দোলানো খোলা বাতাস,
কোন ভূলে তারা হয়েছে উদাস,
হয়েছে যারা পথভোলা হয়ে ধনের দাস,
তাদের কথা নাহয় আজ ছাড়না কি লাভ করে উপহাস,
ঢেলে দেওয়া কত বঞ্চিত নেয়ামত উপকার শোভা ও উপহার,
কেন হায়, তা নহে সবার জানায়, রবি শশীর আলো আর সবটুকু ভাল তার,
পথের ধূলায় ও তরুছায় কতকি পাওয়া যায়, লুকানো কি নেয়ামত সম্ভার ঐ ভোরের বায়ু আর নদীর জোয়ার ভাটার ॥
কিসের এত ভয়, আর কি ইবা লাজ,
দেখছি তাদেরই যেন বেপরোয়া অশনি রণ সাজ,
যূবক বুড়ো নারী পূরুষ মিলে সবাই, বুঝি সময় এসেছে আজ,  
তাদেরই যেন পোয়া বারো, তারাই পায় চায় আরও যত দূর্নীতিবাজ,
এসোনা আমরা গড়ি হাতে হাত ধরি, এমন একটা দল সাহসী সবল সমাজ,
যার হাতে আছে সময়, কোন লাভক্ষতি কিবা নেতা হওয়া নয়, তবু করিতে চান একটা ভাল কাজ,
দোষ কি যদি বিন্দুতে হয়,
একতায় কভূ হেরে নাহি যায়, নিশ্চিতই সিন্ধু বিজয়,
সন্ত্রাসী যূলূমবাজ ও অত্যাচারীর হবো বাজ, বন্ধু হবো করিব ত্রান সেবা উপকার, আর্ত অসহায় মজলুম জনতার ॥