এত অর্থ বিত্ত ধন,
চোখ ধাঁধানো রঙ মাখানো ছবি অঙ্কন,
বদলে দিলো পথ, মোখ থুবরে রথ, জাগাতে পারেনি জাগালো আলোড়ন ॥
কোথায় পেলে, প্রাসাদ বানালে,
কেমনে হলো, বলো কেমনে কামালে,
তুমিকি জানো, আটকে আছো তার অদেখা জালে,
সত্য বলো, বিদ্যান ঞ্জানী ধনবান ও গুনী শাসক ও সমাজপতিগন ॥
যখন আপন স্বজন সবারে হারাবে,
যাবার কালে তা কি তোমার ঐ সফরের সংগে পাবে,
সব ফেলে রেখে, অচেতন ঘূমিয়ে থেকে, পরপারে চলে যাবে,
একেলা পেয়ে, আসিবে ধেয়ে, আপদে নিদানে আর যাতনে তাড়াবে,
দূর অজানায় অচেনা ঠিকানায়, ফিরে নাহি আসা যায়, হলে একবার গমন ॥
কিভাবে কবে,
হিসাব দিতেই হবে,
ওরে নির্বোধ, নিশ্চিত হিসাব লবে জীবনের মালিক জাহানের খোদ মহাজন ॥
তুমি তার মালিক হয়েছ,
বিশাল ধনের পাহাড় গড়েছ,
তুমি কি তার বাণী ও বিধান পড়েছ,
রাজায় যখন বিচারক হয়ে প্রশ্ন করিবে,
কেমনে আয় আর কেমনে ব্যায় তার জবাব দিতেই হবে,
কভূ কি তা হিসাব করেছ, নাহলে ভীষম ফাঁদে পড়েছ, আহরণ ও উপার্জন ॥
সকল লাভক্ষতি দেনাপানা,
কেমনে দেখিবে সে যেজন রয়েছে কানা,
আজও আপনারে চেনা আপন হিসাবখানা, তৃতীয় চক্ষু বিনা হয়কি কভূ তা দরশন ॥
নিথর অঁচল মাটির দেহটা লয়ে,
পারেনা চলতে যখন আর আপনারে বয়ে,
অন্ধ আঁখি গায়ে নাই বল, হদ্দবোঁকার অসহায় দলছুট হয়ে,
সকলই দেখিবে জানিবে বুঝিবে মরনের পরে, অন্ধকার ঘরে যখন করিবে চীর শয়ন ॥
শূন্য দুখানা হাত,
আলো নেই, ভালো নেই, শুধুই গহীন তিমির রাত,
দুঃক্ষ যাতনা কষ্ট বেদনা ও আঘাত, আরতো হবেনা প্রভাত,
এ ভবে নাহি আর ফিরে আসা হবে কোনদিন, ভ্রমন ও লাগামহীন ঐ বিচরণ ॥
দেহটা ছেড়ে পালাবে চতুর প্রাণ,
সব হারিয়ে হবে সে বেচুইন পেরেশান,
অমূল্য মানিক রতন, এক পূন্যবান সন্তান,
অক্ষয় হবে, অনন্তকাল টিকে রবে চীরমহান,
জীবের মংগল ও কল্যাণ, দীনজনে সামান্য দান,
কিছু তার সেবা উপকার,
এ জগতে কেউ নাই আর কিছু নাই যার,
হবে অবসান হিংসা ক্রোধ রোশ দম্ভ,
অলীক মোহ আলো ঝলমল রাজমহল ও সমাধি স্মৃতি স্তম্ভ,
হবে আজব ও অভিনব এক জীবন আরম্ভ, সব অন্যায় অবিচার ভোগ বিনোদন ॥
নগদে সম্পদে সব লেনদেন,
নিখূঁতভাবে দাতা বিধাতা যাচাই করিবেন,  
কিভাবে আয় আর কিভাবে ব্যায় তার হিসাব নিবেন,
চোখে পড়েনা হেন ধূলিকনা সম ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র,
হোক তাহা বিশাল পাহাড় কিবা অতল অকূল মহাসমূদ্র,
করো মন্থন, করো গবেষন, করো সাধনা তুমিকি জানোনা নাহলে হবেনা সাধন ॥
রাখিও স্বরন,
আবু হকের এ বচন,
পাপ পূণ্য হবে গননা, হবে নিরুপন,
ধূর্ত চতুর, কুটিলতা ভরপূর মহা চালবাজগন,
দেখায় না সুপথ, দেয় সদা মন্দটার কুমন্ত্রনা ও ইন্ধন,
পরের ভাল করা, সামান্য দান, শুভ কামনা, সুবচন ও সুচিন্তন,
কিছুই ফেলা যাবেনা,
নায্য শাস্তি পূরস্কার যা হবে যার কর্ম্মে পানা,
তাতে নাই কোন ভূল,
মহাজন কড়ায় গন্ডায় করিবেন আদায় উসুল,
লোকের ও রাজার কাছে,
যার যত বকেয়া দায়দেনা আছে,  
শেষ বিচারের দিন মহারাজা মহাজন, হবেন এমন বিচারক,
হেন সত্য নিখূঁত ঐ পাকজাত, নেই যার কোন পক্ষপাত, নহে কারো জিত কারো ঠক,
কেউ যদি করে অস্বীকার যায় ভূলে, তাই লেখা আছে দেখাবে বালাম খুলে, ওজন করা হবে দেনা আর দাদন ॥
বুঝলেনারে মন,
করলে কত অবহেলা অযতন,
আর পাবেনারে মাটির এ সুন্দর ভূবনের জীবন,
ছোটবড় যত কর্ম্ম সকল,
সবাই পাবে তার প্রতিদান প্রতিফল,
হবেনা মিছে যাবেনা বিফল, রয়েছে সব অক্ষয় অমোচন এক মহাবালামে লিখন ॥
যতই করুক ভাল মানূষের বড়াই,
ডান নাকি তার বাম কিবা কালোহাতের কামাই,
ক্ষমতাধর বাদশা উজির,
কোটিপতি ধনকুব সেনাপতি মহাবীর,
বিদ্যান পন্ডিত সবাই হয়েছে বুঝি নির্বোধ অন্ধ বধীর,
ভাংগা এক ছোট্ট তরীর সওয়ারী হয়ে, অথই অকূল উথাল নদীর,
ভোগের নেশার কাল রোগেতে হয়েছে বিবেক বিভোর রয়েছে মজে সে অধীর,
নহে সৃজন পঠন শিখন অনূসন্ধান জানা, মাথা জুড়ে শুধু ঘূরে বেশী ধন আনার ভাবনার ভিড়,
এক ডোর ছেড়া ঘূড়ির শূন্যে ডিগবাজির নাঁচন,
কে বুঝাবে বুদ্ধি না হলে, তারে কি জীবন বলে, শুধু ধন আর ভোগবিনোদন,
যারা আপনারে লয়ে শুধু মাতোয়ারা দিশেহারা, পথ না খুঁজে মরার মতন চক্ষু বুজে, সে কিরে আসলে বাঁচন ॥