ভীষন ভয়, করছে আমার ভীষন ভয় ॥
হবে আমার লেখার পাঠক যারা,
হয়ত মগজটা হঠাৎ দিয়ে উঠবে নাড়া,
বইটা রেখে ঠেলে, খাতা ও কলম ফেলে, দাড়িয়ে উঠে দিতে হবে হাতপা ঝাড়া,
কিসের এত ভয় এ প্রশ্নটা আর, জবাবখানা পেতে তার, যদি ঠিকই কেউ ব্যাকূল হয় ॥
তারা কারা,
নাম ধাম ঠিকানা ছাড়া,
হয়ত যারা আমার মত বোঁকা আর হতভাগা দিশাহারা,
পথেঘাটে হাটেবাটে বিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে রয়, আর দেখে অবাক হয়, মিথ্যা ও মন্দগুলির উল্লাসী জয় ॥
ঘন আঁধার মাঝে,
ধূয়া ও কুয়াশার মিলন সাঁঝে,
নিত্য তার সকল ভাবনা আর সব কাজে,
চলন ও বলনে বাঁধা বিঘ্ন আর শংকার ঘন্টা বাজে,
সত্যগুলি খুঁজে পেতে, চুপটি করে নেশায় মেতে, বিভোর হয়ে ডুবে রয় ॥
খুঁজতে চলে বাসায় আসে,
তুখোর প্রশ্নগুলি অদেখায় ঐ মহাশূন্যে ভাসে,
মম সৃজন দেখে, বাঁকা চোখে তাকিয়ে থেকে বিদ্রুপের হাসি হাসে,
যারা কোনঠাসা, নেইকো যাদের বড় স্বপ্ন আশা, ঘরের ভিতর মানূষগুলি থরথর কাঁপে ত্রাসে,
বিদ্যা কত, আছে কত ধন দেখতে কার মত, মানূষ কেমন পেশা কিবা জানা চাই তার জাত পরিচয় ॥
আসলে নারে ভাই,
ভয়ের তেমন কারন নাই,
মারতে এসোনা তেড়ে, যেওনা শেষে কেউ হেরে, বসতবাড়ী ছেড়ে পালাই,
নাজানি বনের হিংস্র সিংহ বাঘ,
ভেংগে জন ও জানোয়ারের ব্যাবধান ও শ্রেনীবিভাগ,
যেজন কানা নেই বোধ বিবেচনা, মেনে লয় করে দখল সকল ভয়, করে জাতস্বভাব একটুখানি বদলে লয় ॥
দেখি সবার হাতে হাতে,
অফিসে বাসায় বাজারে হাটে, গাড়ী চালনায় খেলার মাঠে গুদারাঘাটে, যানবাহনে দিনে কি রাতে,
মোবাইলের ফেসবুকে দিনের কাটে,  তিনের এক মানে সবাই তা জানে আটঘন্টা সময় ॥
আফসোসের কথা বলব কি,
জীবন দেখি তাদের আটআনাই ফাঁকি,
করেনা হিসাব কি পেলো নগদ আর কি রলো বাকী,
মোদের ছোট্ট এ জীবন,
ষাট বছরের কয়টি দম আর কয়টি ক্ষন,
কেটে যায় বিশ বছর যার, হায় অসার অচেতন নিদমগন,
কত বাদল ঝড়, আলো ও ভালোর চাষ বসবাস চেয়ে আছে স্ত্রী সন্তানগন,
আর সময় কই, মহৎ সৃজন ও কিছু ভাল কাজ নিজের লাগি সে করবে কখন,
কিছু না বুঝিতে চিনিতে জানিতে শিখিতে বিশটি বছর কোন ফাঁকে করেছে গমন,
ওরে বোঁকা, অ ভোলা মন আর কত খাবে ধোকা ঘূমাবে মরার মত, কখন কবে তোর হবে জাগড়ন,
জীবন গঠন করিবে কবে, নিমেষে যেতে হবে, তড়ি ঘড়ি কখন কি খুঁজে লবে, হঠাৎ আসিলে সমন,
যদিরে হয় অবুঝ শৈশবে বিশ, ঘূমে বিশ আর ইন্টারনেটে বিশ তবে কি জীবনের সবটাই অপচয় ॥
সুদাসলে প্রতিদিন,
বাড়িছে তব মহাজনের ঋন,
হে ইজারাদার, সকলই তোমার ধার, হয়েছ ভোগেতে বিলীন,
ভূল করিলে কিবা হলে তার সময়ের অবিচার অপচয়,
আছে কি স্বরন এ জীবন বানিজ্য সফর তোমার এসেছ দাদন লয়,
যেজন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় বাতি, নিশীতে তারে আঁধারে রহিতে হয়,
আবু হকে কয়, অবশ্যই তার মাসুল দিতে হয়, জানিবে নিশ্চয়, এ কথা মিথ্যে নয় ॥
এ সময়, দমে দমে হচ্ছে ক্ষয়, বিধাতার পরম দান,
একটা জীবন, একটা ভূবন, একটাই ওরে এ দেহে প্রাণ,
সবাই বুঝে, অন্য পথ খুঁজে, হারালে তা ছিল কত মূল্যবান,
যদি মরন এসে সব কেড়ে নেয় আর হয় তোমার এ জীবনের অবসান,
লাভক্ষতি আর দেনাপানা, যে বুঝেনা পাওয়া নাপাওয়ার লেনাদেনার ঐ সোজা হিসাবখান,
যেজন মনের গোলাম হয়ে রয়,
বিবেক যদি ভোতা হয় তার নামইতো অবক্ষয়,
মানূষ কেমনে এত বোঁকা হয়, মনেহয় তা এক অবাক বিস্ময়,
তারে কি জীবন কয়, যদিরে তৈল কিবা খৈল আর ঘানী কিবা ষাড় কিছুরই ভাগিদার নয়,
ধোকা খায় হেরে যায় পিছে পড়ে রয়, কূলোর বলদের মত ভার টানে অবিরত আর শুধু বোঝা বয় ॥